ভোট যুদ্ধে উঠে আসছে কোচবিহারের দুই প্রাক্তন পৌরপতির নাম

একদিকে শাসক তৃনমূলের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে বিরোধী ,বিজেপি,বামফ্রন্ট, কংগ্রেসের স্বচ্ছ পৌরবোর্ড গঠনের প্রতিশ্রুতির প্রচারে সরগরম রাজনগর। তবুও এরমাঝে রাজনৈতিক তরজায় উঠে আসছে কোচবিহারের দুই প্রাক্তন পৌরপতি দীপক গোষ্বামী ও বীরেন কুন্ডুর নাম। বাম, তৃনমূলের নেতাদের মুখে প্রচারের সময় উঠে আসছে এই দুই পৌরপতির নাম। শহরের বিভিন্নপ্রান্তে তৃনমূলের তরফে প্রয়াত প্রাক্তন পৌরপতি বীরেন কুণ্ডুর প্ল্যাকার্ড লাগানো হয়েছে। শহরের ২০ টি ওয়ার্ডে কমবেশী বীরেন কুন্ডুর প্রচুর অনুগামী রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়টি ওয়ার্ডে বীরন কুন্ডুর অনুগামীরা  নির্নায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে। বীরেন কুন্ডুর আমলে করা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ তাই অনেক তৃনমূল প্রার্থী কে পথসভার মাধ্যমে,ক্যালেন্ডারের ছবির মধ্যদিয়ে তুলে ধরতে দেখা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বীরেন কুন্ডুর পুত্র তথা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী শুভজিত কুন্ডুকে আমাদের বলা হয়েছিল ‘ বীরেন কুন্ডুর পুত্র’ এই পরিচয়ে ভোটে প্রার্থী হওয়াটা তার কাছে চাপের নাকি বাড়তি সুবিধার? উত্তরে একবাক্যে শুভজিত বাবু বলেন এটা অবশ্যই তার কাছে বাড়তি সুবিধা। কারন বীরেন বাবু এই শরের মানুষের হৃদয়ে আছেন তার কাজের মধ্যে দিয়ে। আর সেটাই যেন বাড়তি অক্সিজেন শুভজিত বাবুর কাছে। অন্যদিকে বাম কর্মীরাও পিছিয়ে নেই। বাম আমলে দীপক গোস্বামী পৌরপতি থাকার সময়ে কোচবিহার শহরে হওয়া উন্নয়নমূলক  কাজ তার প্রচারে তুলে ধরছেন। এই নিয়ে কোচবিহার পৌরসভার বিরোধী দলনেতা মহানন্দ সাহা বলেন এবার তাদের তরফে দীপক গোস্বামীর শহরবাসীর প্রতি লিখিত বার্তা তারা লিফলেটের মাধ্যমে তুলে ধরবেন। যেই ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দীপক গোষ্বামী নির্বাচিত হতেন সেখানে এবার সিপিআইএমের প্রার্থী তরুণ আইনজীবি তথা দীপক গোস্বামীর ঘনিষ্ট আত্মীয় দেবজ্যোতি গোষ্বামী। আর দীপক গোস্বামীর ওয়ার্ডে ভোটে প্রার্থী হওয়াটা কে এডভান্টেজ হিসেবে দেখছেন দেবজ্যোতি বাবু। এই নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান ‘ দীপক বাবু তাকে ব্যাক্তিগতভাবে অডিও ভিডিও কলের মাধ্যমে শুভেচ্ছা ও কোচবিহারবাসীদের প্রতি অনুরোধ করেন যাতে তারা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের প্রার্থীদের বিপুলভোটে জেতান। একই সাথে দেবজ্যোতিবাবু বলেন ‘ শারীরিক অসুস্থতার কারনে দীপক বাবু কোচবিহারে প্রচারে না আসতে পারলেও ভোটের ফলে ঘোষনা হলে তিনি নিশ্চিত ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাম প্রার্থী জয়ী হবেন এবং তার বিজয় মিছিলে সর্বপ্রথম ব্যাক্তি হিসেবে নিজেই উপস্থিত থাকবেন’। সব মিলিয়ে কোচবিহার শহরের পৌরভোটে বিভিন্ন ইস্যুর মাঝেও প্রধান অস্ত্র হিসেবে উঠে আসছে দুই প্রাক্তন পৌরপতি।