ভোটে জয়ী হওয়ার পর তৃনমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীদের তাণ্ডব…

নির্বাচনে জয়ী হয়েই তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ভাঙচুর লুটপাটের অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায়। অভিযোগ তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা চোপড়ার সোনাপুর, মাঝিয়ালি, চোপড়া বাজার এলাকায় রবিবার সন্ধ্যা থেকেই লুটপাট ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে চোপড়ার বিজেপি কার্যালয়েও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চোপড়া বিধানসভা এলাকায়। যদিও স্থানীয় তৃনমূল নেতা ঘটনার কথা অস্বীকার করে বলেন আমরা শান্তি আর উন্নয়নের পক্ষে কাজ করি। কোথাও কোনও অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন চোপড়া ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি পৃত্থী রঞ্জন ঘোষ। ঘটনাস্থলে চোপড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে।

চোপড়ায় চতুর্থ বারে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী হামিদুল রহমান। পরাজিত করেছেন বিজেপি প্রার্থী শাহিন আখতারকে। ভোটের দিনই সন্ধ্যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের উপর গুলি চালনার অভিযোগ উঠেছিল তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এরপর ভোট গননা শেষ হতেই জয়ের পর চোপড়া বিধানসভা এলাকায় দোকানপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠল তৃনমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উন্মত্ত তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতীদের হামলায় বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা ছাড়াও বেশ কয়েকজন তৃনমূল কর্মী সমর্থকদের দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর হয়। স্থানীয় ব্যাবসায়ী থেকে দোকানদারদের অভিযোগ, আমরা ব্যাবসা করে খাই, আমরা কোনও রাজনৈতিক দলই করিনা অথচ রবিবার সন্ধ্যায় ভোটে জয়ী হওয়ার পর তৃনমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতীরা এলাকায় দোকানপাট বাড়িঘর ভাঙচুর করে দেয়। আমরা ভীষনভাবে আতঙ্কিত হয়ে আছি। সোমবার সকালে চোপড়া বিধানসভার সোনাপুর, মাঝিয়ালি, দাসপাড়া, রামগঞ্জ, চোপড়া বাজার এলাকাতে ভাঙচুর লুটপাটের ছবি দেখা যায়। এক মহিলা তৃনমূল কর্মী অভিযোগ করে বলেন, আমরা তো তৃনমূল করি আমাদের দোকানও ভাঙচুর করে দিয়েছে তৃনমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা। মীনা সাহা নামে ওই মহিলা তৃনমূল কর্মী এও বলেন আমি বিধায়ক হামিদুল রহমানের কাছে জবাব চাইব কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটালো। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন চোপড়ার বাসিন্দারা। চাপা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে চোপড়া বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায়। যদিও চোপড়া ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি পৃত্থী রঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, ভাঙচুর লুটপাটের খবর তাঁর কাছে আসেনি। তাঁর পালটা অভিযোগ ভোটের আগে বিজেপিই তৃনমূল কর্মীদের মারধর করেছে ভাঙচুর করেছিল তৃনমূলের অফিসও। আমরা শান্তি আর উন্নয়নের পক্ষে। তবে যদি কোনও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে থাকে তা উচিত নয় বলে জানিয়েছেন তৃনমূল ব্লক সভাপতি পৃথ্বীরঞ্জন ঘোষ।