ভোটদানে উৎসাহ দিতে সচেতনতা প্রচার নির্বাচন কমিশনের

গনতন্ত্রের সব চেয়ে বড় উৎসব ভোটদানে উৎসাহ দিতে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে জোরদার সচেতনতা প্রচার শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। ভারতীয় গনতন্ত্রের সব চাইতে বড় উৎসব এই ভোটের দিন সকলে যাতে সময়মতো বুথে এসে নিজের মত প্রকাশ করে, তা সুনিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের তরফে এই সচেতনতা প্রচার কর্মসূচী। পাশাপাশি ভোট ঘিরে প্রলোভন থেকে সর্তক থাকার বার্তা দিচ্ছে কমিশন। আগামী ২২ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হবে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা আসনে। তার আগে কালিয়াগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকায় ভোট নিয়ে সচেতনতা প্রচারে ফ্লেক্স লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দিশা নির্দেশ মেনে কালিয়াগঞ্জ ব্লক নির্বাচন দপ্তর এই ফ্লেক্স লাগানোর কাজ করছে। করোনা আবহে এবারে বিধানসভার ভোট হবে পশ্চিমবাংলায়। ফলে একাধিক নতুন নিয়ম এবারের ভোট পর্বে লাগু হবে। এই নতুন নিয়মের একটি হচ্ছে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক মানুষদের ভোটদানের সুযোগ। যে সকল ভোটার শারিরীক প্রতিবন্ধী বা ৮০ বছরের অধিক বয়সী। তারা চাইলে বুথের বদলে নিজের বাড়িতে বসে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদান করতে পারবেন। অপরদিকে বুথে গিয়ে ভোটদান করতে মুখে মাস্ক ব্যবহার ও দুরত্ব বিধি পালন এবারে বাধ্যতামূলক। ইভিএম মেশিনে ভোটদানের বোতাম টেপার পর আপনার ভোট সঠিক স্হানে পড়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে যে ভিভিপ্যাট ব্যবস্হা। তা নিয়েও চলছে সচেতনতা প্রচার।এই সচেতনতা প্রচার নিয়ে কালিয়াগঞ্জের যুগ্ম বিডিও ডোমিত লেপচা জানান ১০০ শতাংশ ভোটারকে বুথমুখী করাই কমিশনের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য সফল করতে সচেতনতা প্রচার কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির জন্য এবারে ভোটদানে কিছু সুবিধা আনা হয়েছে প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক ভোটারদের জন্য। যে সকল প্রতিবন্ধী মানুষ এবং ৮০ বছরের অধিক বয়সী ভোটার বুথের বদলে নিজের বাড়িতে ভোট দিতে চান, তাদের মতামত সংগ্রহের কাজ চলছে। যদি বাড়ির বদলে বুথে গিয়ে ভোটদান করতে চান, বয়স্ক বা প্রতিবন্ধী ভোটার। তাদের সেই ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা থাকবে বুথে। গনতন্ত্রের এই উৎসবে যাতে নির্ভয়ে সকল ভোটার অংশ নিতে পারে, সেই লক্ষ্য নিয়ে কালিয়াগঞ্জের জনবহুল এলাকায় ফ্লেক্স, ফেস্টুন দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে।