পূর্বাভাস ছিল বুধবার দুপুরের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে ইয়াস। কিন্তু তাঁর আগেই স্থল্ভাগে এসে পড়ল ইয়াস। নিজের গতি বাড়িয়ে বুধবার সকাল ৯টা ১৫ থেকেই শুরু হয় স্থলভাগে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া। সেই সময় ছিল ভরা কোটালের সময়। ফলে ভরা কোটাল ও ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে আছড়ে পড়া প্রায় একই সময় হয়েছে। যার গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১৩০-১৪০ কিলোমিটার। আগামী ৩ ঘণ্টা ধরে এর প্রভাব চলবে বলে জানাচ্ছে আবাওয়া দফতর৷ ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে জারি হয়েছে সতর্কতা, মোতায়েন উপকূল রক্ষী বাহিনী। আর এই জোড়া ফলায় দুর্যোগ ও দুর্ভোগ বেড়েছে উপকূল এলাকার বাসিন্দাদের।
একদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুর এলাকা জলমগ্ন, অন্য দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, বকখালি প্রভৃতি এলাকায় একের পর এক গ্রামে জল ঢুকেছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ৫০ জনের সেনাবাহিনীর একটি দল দীঘায় রয়েছে। গতকাল রাত পর্যন্ত দুই মেদিনীপুর জেলার প্রায় সাত লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় শিবিরে সরানো হয়েছে। উপকূল এলাকার মানুষজনকে মাল্টিপারপাস সাইক্লোন শেল্টার, ফ্লাড শেল্টার, আইসিডিএস কেন্দ্রে, স্কুলে ও কলেজে সরানো শুরু হয়েছে। ইয়াস মোকাবিলা প্রস্তুত রয়েছে সেনা, বায়ু সেনা, নৌসেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।