ব্যবহার করা যাবে না ফোন

বিগত দু বছর ধরে দেশ জুড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের তান্ডব৷ এই করোনা পরিস্থিতিতে বদলে গেছে অনেক কিছু৷ ছোট থেকে বড় বেড়েছে মোবাইল ফোনের ব্যবহার৷ আজকাল ছোটদের হাতেও ধরা থাকে মোবাইল ফোন৷ করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসের জেরে মোবাইল ফোনের সঙ্গে পড়ুয়াদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে৷ এরই মধ্যে সোমবার নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন৷ যেখানে স্পষ্ট বলে হয়েছে, ছাত্রছাত্রীরা কোনও রকম মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন নিয়ে স্কুলে আসতে পারবে না৷ তবে শুধু ছাত্র-ছাত্রীরাই নয়, স্কুল ক্যাম্পাসে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের জন্যেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷

পর্যদের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, স্কুলের গণ্ডির মধ্যে ছাত্রছাত্রীরা কোনও ভাবেই মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে পারবে না। কেন এই সিদ্ধান্ত সে সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি বলা হয়েছে, শিক্ষকরা ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরির ভিতরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কোনও কারণে ক্লাস বা ল্যাবরেটরির মধ্যে শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের করতে হয় করতে হয়, তবে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে৷ শিক্ষকদের উদ্দেশে এই নির্দেশিক দারি করার ক্ষেত্রে অবশ্য অনুরোধ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মোবাইল বা স্মার্টফোনের পাশাপাশি ক্লাসরুমে কোনও রকম ব্লুটুথ ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না। ছাত্রছাত্রীদের উপর এই নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া না হলেও, শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ক্লাস চলাকালীন শিক্ষকরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে পঠনপাঠন প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হতে পারে। পড়ুয়াদের মনঃসংযোগ নষ্ট হতে পারে৷ তাই শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ, ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরিতে তাঁরা যেন মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ রাখেন৷

এ প্রসঙ্গে শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন,‘‘ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অথচ সরকারের তরফেই ছাত্রছাত্রীদের স্মার্ট ফোন দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সরকার যদি স্কুলে স্মার্টফোনের ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকে, তাহলে সবার আগে  রাজ্য সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের স্মার্টফোন দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদল করুক।’’