বোনফোঁটা পালন মালদায়

বোনের কপালে দিলাম ফোঁটা যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা। এরকম শুনতে অভ্যস্ত নয় বাঙালি।এবার এই বোন ফোঁটার প্রচলন করতে এগিয়ে আসল একদল যুবতী মহিলা।ভাইফোঁটা পূর্ণিমার ঠিক পরের পূর্ণিমাতে বোন ফোঁটা পালনের সিদ্ধান্ত তাদের। বোনফোঁটা পালন হল মালদায়। সমাজে সমঅধিকার এবং ভারসাম্য আনতে ব্যতিক্রমী চিন্তাভাবনায় এবার বোনফোঁটা পালন করল মালদা জেলার মহিলারা। ভাইফোঁটার ঠিক একমাস পরে এই বোন ফোঁটার আয়োজন করল তারা। জানা গেছে ভাইফোঁটা যে পূর্ণিমা তিথিতে হচ্ছে তার পরিপূরক অনুষ্ঠান বোন ফোঁটা হিসেবে পরের পূর্ণিমা অর্থাৎ রাস পূর্নিমাকে বেছে নেন তারা।

প্রথাগত সামাজিক রীতির বাইরে বেরিয়ে মেয়েদের জন্যে মেয়েদের কিছু করার, কুক্ষিগত সমাজকে একটা বার্তা দেওয়ার এও এক দৃষ্টান্ত। মালদা শহরেই আয়োজন হল বোনফোঁটার।তারা জানিয়েছে গত বছর থেকে সেই নিয়মেই করা হচ্ছে বোনফোঁটার আয়োজন। অর্থাৎ রাস পূর্ণিমাতেই সেই আয়োজন। আগামী দিনে এই তিথি মেনেই যাতে সমাজে এই রীতি প্রচলিত হয় সেই কথা ভেবেই এমন আয়োজন।
বোনফোঁটায় অংশ গ্রহণে সব বয়েসের বোনেরাই হাজির। কেউ ছাত্রী, কেউ আবার ঘরকণ্যা মহিলা আবার কেউ নিজের জীবন সায়াহ্নে পৌঁছেও মনে করিয়ে দিতে এসেছেন মেয়েদের যথার্থ অধিকারের কথা। এসেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও। সকলেই সকলের কপালে আঙুল ছুইয়ে ফোঁটা দিলেন, প্রত্যকে প্রত্যকের মঙ্গল কামনায়। পারস্পরিক ভালোবাসার সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে।

সমাজের মহিলারাই কখনো বোন হয়ে ভাইএর মঙ্গল কামনা করেন, কখনো স্ত্রী হয়ে স্বামীর মঙ্গল কামনায় কঠিন থেকে কঠিনতর ব্রত রাখেন।অথচ তাঁদের মঙ্গল কামনার কথা সচরাচর কেউ ভাবে না। তেমন রীতিও নেই। তাই এই ছোট্ট আয়োজনের মধ্যে সেই বড় ভাবনার কথাই ভেবেছে মালদার ওই বোনেদের দল।তাদের এই ব্যতিক্রমী চিন্তা ভাবনার প্রশংসা করেছে স্থানীয়রা