কিছুদিন বাদে বেশ খানিকটা স্বস্তি মিললেও দেশের করোনা সংক্রমণ। আজ দৈনিক সংক্রমণ ১২ হাজারের ওপরে চলে এসেছে আবার। অন্যদিকে টিকাকরণে আরো বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। শুরু হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ অভিযান। সব মিলিয়ে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার আবহেই একটু একটু করে স্বস্তি পাওয়ার লক্ষণ। এদিকে আরো বড় খবর যে, ফেব্রুয়ারির পর প্রথম বার দেড় লক্ষের নীচে নামল অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৮৫ জন। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৪৬১ জনের। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ২১ হাজার ০২৫ জন। অন্যদিকে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৫২ জন। দেশের দৈনিক মৃত্যুর অধিকাংশই হয়েছে কেরলে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৭৯ জন যা, গত ফেব্রুয়ারি মাসের পর সর্বনিম্ন। দেশের মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৩ কোটি ৩৬ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৪০ জন। এখনও পর্যন্ত দেশের সংক্রমণের হার ৫.৬০ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তা ১.২১ শতাংশ।
অন্যদিকে, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ১২ হাজার ৭৯৪ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৪ জন। এদিকে, দেশে মোট ১০৭ কোটি ৬৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৪০ ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকালই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৩০ লক্ষের বেশি। উল্লেখ্য, গতকালই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ভ্যাকসিন ‘কোভ্যাক্সিন’কে। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর গতকাল এই অনুমোদন মিলেছে যা দেশবাসীর জন্য স্বস্তির।