বাজার করে বাড়ি যাওয়ার পথে এক বৃদ্ধার হাত থেকে ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিল রিক্সাওয়ালা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে ইংরেজবাজার শহরের সিঙ্গাতলা এলাকায়। এই বিষয়ে ওই বৃদ্ধা বৃহস্পতিবার সকালে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় ইংরেজবাজার শহরের সিঙ্গাতলা এলাকার বাসিন্দা প্রতিমা দে আজ সকালে তার দিদির পেনশন চালু করার বিষয় নিয়ে এলাকার কাউন্সিলর অশোক দাসের বাড়িতে যায় ।সেখান থেকে তার দিদির জন্য রেসিডেন্সি সার্টিফিকেট নেওয়ার পর মকদমপুর বাজারে আসে বাজার করতে। এবং বাজার করে বাড়ি যাওয়ার সময় একটি রিকশাতে উঠে।বাড়ির কাছে রিক্সা থেকে নেমে টাকার ব্যাগটি রিক্সা ওয়ালাকে ধরতে বলে। তারপর ভুলবশত বাড়িতে ঢুকে যায় তারপর হঠাৎ ই ব্যাগের কথাটি মনে পড়লে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখে রিক্সাওয়ালা ব্যাগটি নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় ওই বৃদ্ধা ও তার দিদি বুধবার দুপুরে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। থানায় এসে বৃদ্ধা প্রতিমা দে জানান তার দিদি মায়া দাস বয়স 74 বছর বর্তমানে তার দিদি রায়গঞ্জের দেবীনগর থাকতো। এই বছরের জানুয়ারি মাসে হঠাৎই শারীরিক অসুস্থতার জন্য তার জামাইবাবু কালী কুমার দাস প্রয়াত হন । জীবিত থাকাকালীন চাকরি সূত্রে তিনি মালদার জলসম্পদ দপ্তরে চাকরি করতেন । সে ক্ষেত্রে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পেনশন কয়েক মাস ধরে তার স্ত্রী মায়া দাস পাচ্ছিল না। তাই পেনশনের কাগজপত্র ঠিক করার বিষয় নিয়ে দুদিন আগে তার বোন প্রতিমা দে বাড়ি বাড়িতে আসেন। এদিকে আজ সকালে তার বোন দিদির সমস্ত পরিচয় পত্র ও ট্রেজারির কাগজপত্র নিয়ে মকদমপুর বাজার থেকে বাড়ি আসার পথে হঠাৎ ই রিকশাআলা সেই ব্যাগটি নিয়ে পালিয়ে যায় । সেই ব্যাগের মধ্যে রয়েছে তার দিদির আধার কার্ড পেনশনের কাগজপত্র সঙ্গে নগদ 700 টাকা। কাগজপত্র না পাওয়ায় থানার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মায়া দাস। কাগজপত্র পাওয়া না গেলে পেনশন চালু হবে না ঐ বৃদ্ধার। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তবে প্রকাশ্য দিবালোকে এরকমভাবে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরবাসীর মনে।