বিমান পরিষেবার ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়মাবলী।

করোনা ভাইরাস সঙ্কটের মোকাবিলায় দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যেই আগামী সোমবার অর্থাৎ ২৫ মে থেকে শুরু হতে চলেছে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা। “দেশিয় বেসামরিক বিমান চলাচল কার্যক্রম ২৫ মে ২০২০ সোমবার থেকে পুনরায় শুরু হবে। সমস্ত বিমানবন্দর ও বিমানসংস্থাকে ২৫ মে থেকে পরিষেবা শুরুর জন্য প্রস্তুত থাকতে অবহিত করা হচ্ছে,” নাগরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ পুরী টুইট করেছেন। সরকার ও বিমান সংস্থাগুলি পুনরায় বিমান পরিষেবা শুরু করার সময় ‘নিউ নরমাল’ সম্পর্কে আলোচনা করেছে। একটি বিমানে কম সংখ্যক যাত্রী উঠবেন এবং মাঝের আসনটি শারীরিক দূরত্বের জন্য খালি রাখা হবে, এমনটাও জানানো হয়েছে।

 

বিমানের জন্য নির্ধারিত সময়ের দুই ঘন্টা আগে যাত্রীকে পৌঁছাতে হবে বিমানবন্দরে।

যদি চার ঘন্টার ভেতরে বিমান থাকে তাহলে যাত্রীদের টার্মিনাল বিল্ডিং-এ যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।

প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতেই হবে।

যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং হবে।

প্রত্যেক যাত্রীর মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ-টি থাকা অনিবার্য।

১৪ বছরের নিচের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আরোগ্য সেতু অ্যাপ না থাকলেও চলবে।

যদি তাতে ‘সবুজ’ সংকেত না থাকে, তার মানে তাঁর কাছে সরকারী কন্টেক্ট ট্রেসিং অ্যাপ্লিকেশন নেই, এমন যাত্রীকে যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে না।

বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া কোনও যাত্রীদের ক্ষেত্রেই ট্রলির অনুমতি দেওয়া হবে না। তার জন্য তাঁকে ডিসইনফেক্ট করতে হবে।

যাত্রী এবং বিমান চালকদের জন্য সর্বজনিক পরিবহন ও ট্যাক্সি সুনিশ্চিত করার বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের ওপর।

শুধুমাত্র ব্যক্তিগত যানবাহন এবং নির্ধারিত ক্যাব পরিষেবাই পারবে যাত্রীদের বিমানবন্দরে নিয়ে যেতে।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে নাগরিক উন্নয়ন মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিমান সংখ্যা কম হতে পারে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মধ্যের আসনটি খালি রাখার কথা জানানো হয়েছে, তাতে করে টিকিটের দাম বৃদ্ধি পাবে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল সমস্ত রকম বিমান চলাচল। স্পাইসজেটের অধ্যক্ষ অজয় সিংহ বিমান চালানোর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন, তিনি বলেছেন, ”২৫ মে থেকে সরকারের অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের আর্থিক অবস্থা সুদৃঢ় হবে। আশা করা হচ্ছে বহু দিন প্রতীক্ষার পর যাত্রীদের সুরক্ষিত ও দ্রুত গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যাবে।”