প্রাক্তন ভারতীয় অল-রাউন্ডার যুবরাজ সিং মঙ্গলবার ভারতের ব্যাটিং কোট বিক্রম রাঠৌরকে নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। টি২০ ক্রিকেটে তাঁর প্লেয়ারদের শেখানোর মতো যোগ্যতা আদৌ আছে কিনা সেই প্রশ্নই তুললেন তিনি। সঞ্জয় বাঙ্গারকে সরিয়ে ভারতীয় সিনিয়র দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। যুবরাজ বলেন, ‘‘ও (রাঠৌর) আমার বন্ধু… আপনার কি মনে হয় ও টি২০ জেনারেশনের প্লেয়ারদের সাহায্য করতে পারবে?” ২০০৭ টি২০ বিশ্বকাপ ও ২০১১ ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জয়ের মূল কারিগর যুবরাজ ইনস্টাগ্রামে কথা বলতে গিয়ে বলেন। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৭-এর মধ্যে রাঠৌর ছ’টি টেস্ট ও সাতটি ওডিআই খেলেছেন। যুবরাজ বলেন, প্লেয়ারদের তাঁদের মতো করে হ্যান্ডেল করতে হয়। তিনি বলেন, ‘‘আমি যদি কোচ হতাম তাহলে বুমরাকে রাত নটায় শুভরাত্রী বলে দিতাম এবং হার্দিক পাণ্ড্যেকে ড্রিঙ্কের জন্য নিয়ে যেতাম। এ ভাবেই বিভিন্ন জনের সঙ্গে বিভিন্ন রকমভাবে কাজ করতে হবে।”
গত বছরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন যুবরাজ। ভারতের হেড কোচ রবি শাস্ত্রীকেও তিনি ছেড়ে কথা বলেননি। তাঁর মতে, বর্তমান দলের কাছে এমন কেউ নেই যাঁর সঙ্গে কথা বলে উপদেশ নেওয়া যেতে পারে।
প্লেয়ারদের সঠিক পথ দেখানোটা শাস্ত্রীর কাজ কিনা জানতে চাওয়া হলে যুবরাজ বলেন, ‘‘আমি জানি না রবি এগুলো করছে কিনা হয়তো ওর হাতে অন্য কাজ রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘সে যাইহোক, তুমি সবাইকে এটা বলতে পারো না যে যাও নিজের খেলাটা খেল, এটা হয়তো সেহবাগের মতো প্লেয়ারের সঙ্গে করা যেত… তবে এটা কখনওই পূজারার সঙ্গে হবে না। যেটা কোচিং স্টাফদের বুঝতে হবে।”
হার্দিক পাণ্ড্যে নিয়ে কথা বলতে গিয়ে যুবরাজ বলেন, ‘‘হার্দিক পাণ্ড্যেই সেই মানুষ যে আমার দ্রুততম ৫০ রানের রেকর্ড ভাঙতে পারে। ওর মধ্যে সেরা অল-রাউন্ডার হওয়ার গুন রয়েছে। কিন্তু তার পরও তোমার এমন কাউকে চাই যে তাঁকে ও দলকে সঠিক পথ দেখাবে।”
ভারতীয় সিনিয়র দল নির্বাচন নিয়েও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন যুবরাজ। বিশেষ করে ২০১৯ বিশ্বকাপে।
২০১৪ টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। তাঁর দারুণ কেরিয়ারের সব থেকে খারাপ দিন ছিল সেটি।
তিনি বলেন, ‘‘আমি পুরো দায়িত্ব নিচ্ছি ফাইনালে হারের জন্য। আমি খেলতে পারিনি। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বোলাররা খুব ভালো বল করেছিল। অন্য ব্যাটসম্যানরাও খেলতে পারছিল না কিন্তু ফ্যানরা এবং সংবাদ মাধ্যম আমাকেই ভিলেন বানাল। চণ্ডিগড়ে আমার বাড়িতে পাথর ছোড়া হয়েছিল। আমি বাড়ি ফিরে যখন আমার ভারতীয় দলের টুপি ও ছয় ছক্কা হাঁকানো ব্যাট দেখলাম তখনই বুঝে গিয়েছিলাম আমার সময় শেষ।”