পার্থ নিয়োগী ঃ সেই কবে মান্না দে গেয়েছিলেন ‘ সব খেলার সেরা তুমি বাঙালীর প্রিয় ফুটবল’। তবে সৌরভ আসার পর থেকে বাঙালীর প্রিয় খেলার স্থান দখল করেছে ক্রিকেট। ফুটবল থেকে ক্রিকেট আর খুব বেশী হলে বাঙালী ছেলে মেয়েরা খেলে ক্যারাটে। কিন্তু তাই বলে বক্সিং ? শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি। তাও আবার সেই বাঙালী ছেলেটি কোচবিহারের। কোচবিহার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুরজ কুমার ঘোষের ছেলে কুনাল ঘোষ হচ্ছে সেই ছেলেটি । যে কিনা স্বপ্ন দেখে মহম্বদ আলি, মাইক টাইসন শিবা থাপা, মেরি কমের মত বক্সার হবার। আর সেই স্বপ্নের পথে সে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। কোচবিহারে বাড়ি থাকলেও সে পড়াশোনা করে রাজস্থানের পিলানি বিড়লা পাবলিক স্কুলে। পড়াশোনার পাশাপাশি এই স্কুল বক্সিং খেলার জন্যও বিখ্যাত। এতটুকু বয়সে জন্মস্থান ছেড়ে কুনাল রাজস্থানের এই স্কুলে পড়াশোনা করছে বক্সার হবার জন্য। ব্যবসার কাজে ব্যস্থ থাকলেও সুরজ বাবু তার ছেলের বক্সার হবার স্বপ্নকে সব সময় উৎসাহ দিয়ে চলেছেন। আর এটাই হয়ত কুনালের সবচেয়ে বড় শক্তি। সম্প্রতি ন্যাশনাল মিলিটারি স্কুল ধোলপুরে আই পি এস সি বক্সিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নিয়েছিল পিলানি বিড়লা পাবলিক স্কুল। আর এই প্রতিযোগিতায় পিলানি বিড়লা পাবলিক স্কুল তিনটি সোনা সহ মোট ১১ টি পদক জয়লাভ করে। আর এই তিনটি স্বর্ন পদক জয়ী স্কুল ছাত্রের মধ্যে একটি স্বর্ন পদক জয়ী বক্সার হলেন কুনাল ঘোষ। এই প্রতিযোগিতায় স্বর্ন পদক জয়ের ফলে কুনাল এবার সুযোগ পেয়ে গেলেন জাতীয় স্তরে খেলার সুযোগ। কোচবিহারের থেকে সম্ভবত এই প্রথম কোন এত কম বয়সের ছেলে জাতীয় স্তরে বক্সিং এ নামতে চলেছে। স্কুলের বক্সিং কোচ বিজয় সিং রাঠোর ফোনে জানান তার স্কুলের ছেলেদের এহেন সাফল্যে তিনি খুব আনন্দিত। আর কুনালে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘ কুনাল খুব প্রতিভাবান। আর ওর মধ্যে একজন ভালো বক্সার হয়ে ওঠার প্রবনতা আছে’। পিলানি বিড়লা পাবলিক স্কুল কতৃপক্ষ কুনাল সহ তাদের পদক জয়ী পুরো স্কুল দল এবং কোচকে দারুনভাবে অভ্যর্থনা জানায়। এদিকে কুনালে এই সাফল্যে খুশিতে মেতে ওঠেন অনেক মানুষ। তাদের অন্যতম হলেন কোচবিহার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য তথা ক্রীড়া সংগঠক পঙ্কজ ঘোষ। এই নিয়ে পঙ্কজ বাবু বলেন ‘ আমাদের ঘড়ের ছেলে এত কম বয়সে এমন সাফল্য পেয়েছে বক্সিং এ যা অন্যদেরও উৎসাহিত করবে। সেইসাথে তিনি বলেন আগামীতে কুনাল যাতে বিশ্বমানের বক্সার হয়ে উঠতে পারে তারজন্য ওরপাশে আমরা সবসময় আছি’।