আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। তারপরই নয়াদিল্লির রাজপথে উদযাপিত হবে প্রজাতন্ত্র দিবস। আকাশে উড়বে বায়ুসেনার বিমান, আর সেই বিমানেই থাকবেন এয়ার লেফট্যানেন্ট স্বাতী রাঠোর। এই প্রথম কোনও মহিলা পাইলটকে দেখা যাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের ফ্লাইপাস্ট প্যারেডের নেতৃত্বে। লিঙ্গসাম্যের এক নয়া ইতিহাস লিখতে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা, আর তারই শরিক স্বাতী।
রাজস্থানের নাগৌর জেলার ছোট্ট গ্রামে জন্মানো স্বাতী ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। ২০১৪ সালে প্রথমবারেই বায়ুসেনার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি।এরপর দেহরাদুনে এয়ার ফোর্স সিলেকশন বোর্ড তাঁর ইন্টারভিউ নেয়৷ গোটা দেশের ২০০ মহিলা ছাত্রীর মধ্যে মাত্র ৯৮ জন স্ক্রিনিংয়ের জন্য নির্বাচিত হয়৷ তাঁদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে বেছে নিয়েছিল বায়ুসেনা৷ যার মধ্যে স্বাতী একজন৷ ফ্লাইং ব্রাঞ্চে তিনি নির্বাচিত হন৷ স্বাতীর দাদা ভারতীয় নৌসেনায় কর্মরত। স্বাতীর বাবা ডাক্তার ভবানী সিং রাঠোর বলেছেন, “আমার মেয়ে আমার মাথা উুঁচু করেছে, ওর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে দেখে আমি অভিভূত”৷