নয়দিন পর প্রকাশ্যে এসে বিরোধীদের একহাত নিলেন কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক মিহির গোস্বামী। এদিন নিজের কার্যালয়ে বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন তিনি জানালেন আমি মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই। এবং নিজের অফিসে নিয়মিত বসবেন মানুষের জন্য। কারন মানুষ তাকে ভোট দিয়ে বিধায়ক পদে বসিয়েছেন।
এই নয়দিনের মধ্যেই তৃণমূলের সব পদ থেকে সরিয়ে নেওয়া এই নেতাকে নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তিনি কোথায় আছেন বা গেছেন তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে কোচবিহার রাজনৈতিক মহলে। তবে এদিন তার সোজাসাপ্টা উত্তর দেন তিনি ।তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে বাইরে ছিলাম, বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম এবং আমার বন্ধু স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করে গল্পের গরু গাছে চড়িয়ে দিয়েছেন। এমনও শোনা গেছে আমি নাকি গোপনে দিল্লী পর্যন্ত চলে গেছি। এসব কিছুই নয়
ইতিমধ্যেই কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ মিহির বাবু কে বিধায়ক পদ থেকে সরে যাওয়ার দাবি তুলেছেন। এই প্রসঙ্গে মিহির বাবু নাম উল্লেখ না করে বলেন, একজন অর্ধশিক্ষিত কি বলল তাতে কিছু এসে যায় না। যেদিন মুখ্যমন্ত্রী বলবেন আমি বিধায়ক পদ থেকে সরে যাব।তবে এই মুহূর্তে দলবদল বা নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোনো রকম কোনো ইঙ্গিত দেননি মিহির গোস্বামী।
নয় দিন পরে অজ্ঞাতবাস কাটিয়ে তার এই আগমন জেলা রাজনীতিকে কোন পথে চালিত করবে সেটা এখন সময় সাপেক্ষ। কারণ ইতিমধ্যেই তার পথ অবলম্বন করে কোচবিহার জেলার বেশ কিছু নেতৃত্ব দলে র বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন। মিহির বাবু বলেন, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছিল, কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা কে বাঁধবে সেটা জানা ছিলনা, আমি বেধেছি, বাকিটা সময়ের উপরে ছেড়ে দিলাম।