নতুন প্রজন্মদের মধ্যে ভাওয়াইয়া গান প্রসারে বাদ্যযন্ত্র বিলি

উত্তরের মাটির গান ভাওয়াইয়া গানের সুরে আত্মহারা হয়নি কোনো গান প্রেমিক এমনটি খুঁজে পাওয়া যায়না। কালজানি নদীর তীরে এক সময় ভোর হতো নায়েব আলী টেপু এর দোতোরার আওয়াজে, প্রখ্যাত ভাওয়াইয়া শিল্পী আব্বাস উদ্দিন এর জন্মস্থান আমাদের কুচবিহারে। একদিকে যেইখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাওয়াইয়া সঙ্গীত কে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিচ্ছেন, অন্যদিকে কোথাও কি হারিয়ে যাচ্ছে ভাওয়াইয়া সঙ্গীত এর বাদকরা ?? দোতারা, ঢোল, নাল, খমক, খোল, বাঁশি ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্রের বাদকরা আজ কোথায়। নতুন করে এই বাদ্যযন্ত্র গুলি শিখছে না কোচবিহারের বাসিন্দারা।একদা আব্বাস উদ্দিন, ভূপেন হাজারিকা, দীপ্তি রায়ের হাত ধরে ভাওয়াইয়ার সুরে মোহিত হত গান রসিকরা। সেই ধারা আজ রয়েছে দুর্গারায়ের মধ্য দিয়ে। এই ভাওয়াইয়া গানের ক্ষীণ সুরকে বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে দিতে এবং তরুণ প্রজন্মকে ভাওয়াইয়া গানের চর্চার বৃদ্ধিতে বাদ্যযন্ত্র বিলি করল রাজবংশী ভাষা একাডেমি।

রাজবংশী ভাষা একাডেমীর চেয়ারম্যান বংশী বদন বর্মন এর উদ্যোগে ভাওয়াইয়া সঙ্গীত এর বাদ্য উপকরণ তুলে দেওয়া হয় শিল্পীদের হাতে। কোচবিহারের প্রবাদপ্রতিম ভাওয়াইয়া শিল্পী আব্বাস উদ্দিনের জন্ম ভিটা বলরামপুরে এই অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র শিল্পীদের হাতে তুলে দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, কোচবিহারের মাটির গান, কৃষ্টি সংস্কৃতি এই ভাওয়াইয়া শিল্পীরা হারিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে হারিয়ে যাচ্ছে বাদ্যযন্ত্র। তাই শিল্পীদের বাদ্যযন্ত্র তুলে দেওয়া হল। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কোচবিহার জেলার একশ কুড়িজন ভাওয়াইয়া শিল্পী।