ফের একবার দেশ জুড়ে বাড়ছে চিন্তা, মাত্র ছাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা৷ বিশেষজ্ঞদের মতে দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ৷ ফের আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছে মানুষ৷ তবে কি ফের লকডাউন হবে? দ্বিতীয় ঢেউ মারণ কামড় বসালেও দেশের অর্থনীতির কথা ভেবে পূর্ণ লকডাউনের পথে হাঁটেনি দেশ৷ এখন তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মুখে দাঁড়িয়ে গোটা দেশ৷ বছরের প্রথম দিনেই দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলন, ‘‘আমাদের সামনে করোনার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিন্তু করোনা ভারতের গতি রুখতে পারবে না।’’
প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লেও দেশে সম্পূর্ণ লকডাউন হবে না৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত সব রকম সাবধানতা অহলম্বন করেই সতর্কতার সঙ্গে করোনার সঙ্গে লড়াই করবে এবং জাতীয় স্বার্থ পূরণ করবে।” তাঁর কথায়, ২০২২ সালে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতি আরও বাড়াতে হবে।
তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যগুলির সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ নিয়মিত ভাবে রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা পাঠানো হচ্ছে৷ কী ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে, সেই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দিল্লি, কলকাতা-সহ একাধিক রাজ্যের সমস্ত বড় শহরে ইতিমধ্যেই শপিং মল-সহ নানা ক্ষেত্রে গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে৷ স্বাভাবিক ভাবেই দেশের দিনমজুর বা খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের রুজিরুটি নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। কারণ গতিবিধিতে নিয়ন্ত্রণ করলেই টান পড়বে রোজগারে৷ গোটা দেশে লকডাউন করা হলে ফের লাখ লাখ মানুষের উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে৷
গত বছর কোভিডের প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পরেই এপ্রিল-জুন মাসে জিডিপি প্রায় ২৪ শতাংশ সঙ্কোচন হয়েছিল। জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসেও সঙ্কোচন বজায় ছিল। এর পর থেকে কিছুটা আর্থিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই ইতিবাচক বৃদ্ধির হার বজায় রয়েছে। অর্থনীতি নিয়ে আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ বহু ক্ষেত্রে অর্থনীতির মাপকাঠি প্রাক্-করোনার সময়ের চেয়ে ভাল অবস্থানে রয়েছে। আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশের বেশি।