সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘২০১৯ – ২০ অর্থবর্ষে মার্চ মাস পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। কলকাতা পুরসভা ধীরে ধীরে সেই অর্থ মিটিয়ে দিযেছি।’ তবে আম্ফান ও করোনার জোড়া চাপে পুরভাঁড়ারের স্বাস্থ্য যে খুবই খারাপ হয়েছে তাও স্বীকার করে নেন তিনি। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে এসে ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাজ্য সরকার যাবতীয় বকেয়া মিটিয়ে দিচ্ছে। ঠিকেদাররা বকেয়া পেয়ে যাবেন।
প্রশ্ন উঠছে, তবে কি করোনা ও আমফানের জেরে কি পুরসভার কোষাগার শূন্য ? তার জেরে কি থমকে আছে পুরসভার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ? পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি পুরসভার অর্থ কোষে টান দেখা দিয়েছে। আর এর জেরেই অর্থের যোগানের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাই কাজ একাধিক প্রকল্পের বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে ঠিকাদাররা। ঠিকাদার আরো জানিয়েছে, একাধিক প্রকল্পের কাজে বরাত দেওয়ার পর তার অর্থ আটকে রয়েছে। একটি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একাধিক শ্রমিক ও তাদের পরিবার। তাই টাকা না পেলে পেট চলা বার। তাই টাকা না পেয়ে কার্যত প্রকল্প গুলির কাজ বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদাররা। এমন কি কাজ হয়ে যাওয়ার পরও বেশ কিছু ঠিকেদার সময়মতো বকেয়া পাওনা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন এর জেরে দীর্ঘ তিন থেকে চার মাস সম্পত্তি কর আদায়ের ক্ষেত্রে তীব্র ধাক্কা খেয়েছে কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষ। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি কর বকেয়া। তার ওপর আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া শহরকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতেও মোটা অংকের টাকা খরচ করতে হয়েছে পুরকর্তৃপক্ষকে। এই অবস্থায় চাপ পড়েছে পুর ভাঁড়ারে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে কবে আবার স্বাভাবিক হবে পুরসভার ভাড়ার তাও অনিশ্চিত।