রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা তা সময়ই বলবে। আর সেসময় খুব শীঘ্রই আসছে। কিন্তু টলিপাড়ায় যেভাবে পদ্মফুলের চাষ ভালো হচ্ছে তাতে এক প্রকার উজ্জীবিত টলিপাড়ার কলাকুশলীরা। রুদ্রনীল, যশ, সহ একঝাঁক অভিনেতা অভিনেত্রীর পর এবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল তাঁর বিজেপিতে যাওয়ার। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। বিজেপিতে যাচ্ছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। টলিপাড়ায় আপাতত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। প্রথাগত এবং পেশাগত রাজনীতিকদের চেয়ে তারকাদের নিয়েই মাতামাতি বেশি তৃণমূল এবং বিজেপির। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অভিনেতা হিরণও। বুধবারই ঘটা করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আরেক অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। বৃহস্পতিবার অমিত শাহের কাকদ্বীপের সভাতেই হিরণের যোগ দেওয়ার কথা বিজেপিতে।
হিরণের দাবি, ‘অলক্ষ্মী বিদায়ই লক্ষ্য! বাংলা থেকে অলক্ষ্মী বিদায় করে লক্ষ্মী ফেরাতে চাই। বাংলায় কর্মসংস্থান নেই, বাংলার যুবরা বাইরে চলে যাচ্ছেন। তাঁদের ফেরাতে হবে।’ তাঁর আরও দাবি, ‘আমি সাধারণ ঘরের ছেলে। আমজনতার দুঃখ কষ্ট বুঝি। আর রাজনীতি হল সমাজ এবং সিস্টেম পরিবর্তনের বিরাট বড় হাতিয়ার। হাতে ক্ষমতা না থাকলে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ আটকানো যাবে না। ২০১৪ সালে সেই স্বপ্ন নিয়েই একটা দলে যোগ দিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম অনেক কিছু হবে। বাংলার পরিবর্তন হবে, কিন্তু রাস্তায় শুধু নীল-সাদা রং ছাড়া আর কিছুই হয়নি। হতাশ হয়েছি, এরপর নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশজুড়ে যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তাতেই যোগ দিতে যাচ্ছি। উন্নয়নের জন্য সর্বভারতীয় দলকেই ক্ষমতায় চাই।’