টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ হতে চলেছে জলপাইগুড়ির কীর্তি ছাত্রীর

এবারের উচ্চমাধ্যমিকে ৪৪৪ পেয়ে পাস করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ময়নাগুড়ির দিনমজুর কৃষকের মেয়ে লক্ষ্মী রায়।এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার জলপাইগুড়ি রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয় থেকে ৪৪৪ নম্বর ৮৮.৮% পেয়ে পাশ করেছে।তার প্রাপ্ত নম্বর বাংলায় ৮৫, ইংরেজিতে ৮৫, ভূগোলে ৯২, সংস্কৃতে ৯১, দর্শনে ৯১,ইতিহাসে ৮১ নম্বর। তার ইচ্ছা ভবিষ্যতে সে ভূগোল নিয়ে পড়াশোনা করে শিক্ষিকা হতে চায়।

কিন্তু তার পড়াশোনার অন্তরায় হতে চলেছে অর্থ।জানা গিয়েছে লক্ষ্মীর বাবা শিবু রায় সামান্য কৃষক,মা আরতি রায় গৃহবধূ।অভাবের সংসারে মেয়ের কলেজ ভর্তির টাকা এবং তার আগামী পড়ার খরচ কিভাবে জোগাবে ওই দরিদ্র দম্পতি টা নিয়েই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে তাদের।আগামী ১০তারিখ থেকে কলেজে ফর্ম ফিলাপ শুরু হচ্ছে। ভর্তির টাকা কিভাবে জোগাড় করবে বুঝতে পারছেনা লক্ষ্মী ও তার পরিবার । লক্ষ্মীর বাবা শিবু রায় জানিয়েছেন, “আমি সামান্য কৃষক,লকডাউনের বাজারে কাজ কর্ম বন্ধ।যা ছিল কয়েকমাস খেয়েই শেষ হয়ে গিয়েছে।”মেয়ের পড়াশোনায় কোনো সহানুভূতি সহৃদয় ব্যক্তি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে মেয়ে তার ইচ্ছা পূরণ করতে পারবে।ইতিমধ্যে লক্ষ্মীর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গাতে দরবার করছে লক্ষ্মীর গৃহশিক্ষক বিশ্বজিৎ রায়