জামাই আদর 

আচ্ছা, জষ্ঠি মাসের ঠা-ঠা রোদ্দুর আর প্যাচপেচে গরমে মানুষের সব রস যখন শুকিয়ে কিসমিস হওয়ার জোগাড় তখন আম, জাম, জামরুল, কাঁঠাল, লিচু, আনারস ইত্যাদি হরেকরকম ফল এত রসালো হয়ে ওঠে কেন বলুন দেখি? কেনই বা ঝাঁকে  ইলিশ সমুদ্রের লোনাজল ছেড়ে গঙ্গা, পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনার মিষ্টি জলের দিকেই ছুটে আসে? আর কেনই বা মাথার ঘাম ছানায় ফেলে বাংলার ময়রারা ক্ষেপে ওঠে কে কার চাইতে পাল্লা দিয়ে ভাল ক্ষীরদই, ছানাবড়া, রসগোল্লা, তালশাঁস, সন্দেশ, রাবড়ি এসব বানিয়ে তাক লাগিয়ে দেবে। কারণ একটাই।স-ব ঐ জামাই বাবাজীদের পাতে পড়বে বলে।

বলবেন সে আবার কী! শুধু জামাই বাবাজী কেন? রসিকজন মাত্রেই তো ফি-বছর এই সমস্ত রসালো আয়োজনের ওপর হামলে পড়ে। ঘর্মাক্ত কলেবরে দিনরাত যখন তখন আমের আঁটি চুষছে। জাম ঘামিয়ে খাচ্ছে। কাঁঠালের মোচ্ছবে সামিল হচ্ছে সপরিবারে। গোল হয়ে বসে বাড়ির গুঁফো কত্তা থেকে পুঁচকে পুঁটি সকলেই হ্যাংলার মতো দিবারাত্রি ফলাহার করে চলেছে। আম কাঁঠালের রস আঙুলের ফাঁক দিয়ে গড়িয়ে কনুই ছোঁয়ার আগেই চেটে নিচ্ছে “স্যাঁট” করে। কাঁঠালের আঠা লেগে আছে কত্তার গোঁফে। বাড়িময় আম-আম গন্ধ। কাঁঠালের ভূতি ঘিরে নীলরঙা ডুমো মাছির ভ্যানভ্যান । বাঙালি গৃহস্থ বাড়িতে এ চিত্রই তো ভীষণ পরিচিত। তাহলে? আরে এ ছবির মধ্যে কোনও নান্দনিকতা নেই। আছে কেবল মোটা দাগের আদেখলামি। কিন্তু সমস্ত আয়োজন  একটা আলাদা মাত্রা পায় একমাত্র বাড়িতে জামাই এলে।  এই সমস্ত মাছিওড়া চ্যাটচেটে  বস্তুগুলোকেই যখন বাটিতে বাটিতে সাজিয়ে পরিপাটি করে জামাইয়ের পাতের চারপাশে  পরিবেশন করা হয় তখন পরিবেশনের পারিপাট্যে সেটাই চিরচারিত বাঙালি কালচারের অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে।

বাঙালি গৃহস্থ বাড়িতে জামাইয়ের আদর ও কদর দুটোই স্বতন্ত্র।

-” ওরে ও বোঁচা, বড় কাঁঠাল টা পারিসনা যেনো। ওটা জামাইয়ের জন্য থাক। ”

-” অ্যাই, বাঁদর গুলো। নেমে আয় বলছি গাছ থেকে। নেমে আয়। লিচুগুলো রেখেছি জামাই খাবে বলে আর তোরা কিনা… ”

-” বৌমা, কাসুন্দিটায় ঝাঁঝ হয়েছে তো। জামাই কে যাওয়ার সময় এক শিশি দিয়ে দিও। শাক  কাসুন্দি ওর খুব প্রিয়। ”

-“জালে বড় রুই উঠলে ওগুলো ছেড়ে দিও গোকুল। জামাই ষষ্ঠীর দিন উঠিও। আমার জামাই আবার রুইয়ের কালিয়া খেতে ভালবাসে।

-“কই হে গোপাল, সরভাজা বানাচ্ছো না আজকাল?… ”

কিংবা

-” কী রে কানাই, জামাই ষষ্ঠী তো চলে এলো। তা তোর পদ্মার ইলিশের তো টিকিটাও চোখে পড়ছে না”

-” আসবে আসবে, সময়মত ঠিক চলে আসবে দাদা। তবে দামটা হয়ত এবারে একটু বেশি পড়বে… ”

-” সে হোক। বছরে ঐ তো একটা দিন। জামাই এর পাতে ইলিশ পড়বে না? হেঁ-হেঁ তাও কি হয়। অন্ততঃ গলদা চিংড়ি…”

এ সমস্তই কাল্পনিক সংলাপ হলেও বাংলার ঘরে ঘরে জামাই ষষ্ঠীর আগে জামাই বাবাজীর আগমনকে কেন্দ্র করে আগমনীর মতো বাতাসে ভেসে বেড়াতো।  জামাই আসা মানেই সাজো সাজো রব পড়ে যাওয়া। একমাত্র বাংলাতেই “জামাই-আদর”  বলে একটি বিশেষ শব্দবন্ধ রয়েছে। বাড়িতে জামাই আসাকে কেন্দ্র করে গানও রয়েছে,” বলি ও ননদি আর দু’মুঠো চাল ফেলে দে হাঁড়িতে, ঠাকুর জামাই এলো বাড়িতে “। তো জামাই-ডে অর্থাৎ জামাই ষষ্ঠীর দিন জামাইয়ের বাড়তি খাতিরদারি হবে এতে আর আশ্চর্যের কী আছে। একমাত্র ঘরের মেয়ে মা উমার সাথে কৈলাশপতি মহাদেব  যখন মর্ত্যধামে আসেন তখন  তিনিই যে কেন ঠিকঠাক সমাদর পান না সেটাই আশ্চর্যের। সেক্ষেত্রে হয়ত অ্যাটিটিউড ম্যাটার করে। এ যুগে তো অ্যাটিটিউড টাই বড়, তাই না। ভোলেনাথ সন্ন্যাসী মানুষ। একটি বেলপাতা আর এক ছিলিম গাঁজা, এতেই তিনি সন্তুষ্ট। হয়ত সে কারণেই তিনি বরাবর নেগলেক্টেড রয়ে গেলেন।

তবে একটা সময় ছিল যখন বাংলার ঘরে ঘরে জামাই আদর কাকে বলে তা ছিল দেখার মত। ষোড়শ ব্যঞ্জনের বাটি সাজিয়ে জামাইদের আপ্যায়ন করা হতো। শাশুড়ি মা পাশে বসে তালপাতার পাখার বাতাস করতেন। শ্বশুর মশায়রা ঘনঘন খোঁজ নিতেন জামাইয়ের খাওয়া পছন্দ হয়েছে কিনা।  তখন গ্রাম বাঙলায় এমনকি শহরাঞ্চলেও ঘরে ঘরে আম, জাম, কাঁঠালের গাছ থাকত। গোয়ালে গরু। তখনও শহরে ফ্ল্যাট কালচারের জোয়ার আসেনি। গ্রামবাংলার ক্ষেত ভরে থাকত দুধসর, রূপশালি ধানে। পুকুর ভরা মাছ। আম, জাম, কাঁঠালের ছায়ায় ছিল অনাবিল শান্তির ছবি। ছবিটা এখন ঘরের দেয়াল আর বইয়ের পাতাতেই শোভা পায়। গ্রাম বাংলার বাতাসে এখন শুধুই…থাক সেসব কথা।

হচ্ছিল জামাই ষষ্ঠীর কথা। আর কদিন বাদেই জামাই ষষ্ঠী। নিয়ম করে জামাইরা সেদিন শ্বশুরালয়ে আসবে। এই বিশেষ দিনে জামাইদের এন্ট্রি নিয়ে নানান গল্প আছে। তবে জামাই ষষ্ঠী নিয়ে নস্টালজিয়ায় গদগদ হওয়ার আগে মাথায় রাখা ভাল দুধেভাতে বাঙালির সেই দিন আর নেই। স্বাধীনতার পর থেকে কমতে কমতে তলানিটুকুও এখন উবে গেছে বাতাসে। বাজারে আগুন ঝরা জিনিসের দাম। সেই সঙ্গে কোভিডোত্তর কালে অর্থনীতির অ্যানিমিয়া ঘরে ঘরে মানুষের উৎসাহ উদ্দিপনার সাড়ে তেইশ মেরে বসে আছে। সকলেই কেমন যেন মনমরা। হা-হুতাশ করে চলেছে।

-” কেমন আছেন দাদা? ” জিজ্ঞেস করলে উত্তর মেলে, “আর আছি…এখন গেলেই বাঁচি। ” তারপর যদি জিজ্ঞেস করেন, ” জামাই ষষ্ঠী তো চলে এলো। মেয়ে-জামাই আসবে না এ বছর? ” প্রশ্ন শুনে হয়ত এমন দার্শনিক দৃষ্টিতে তাকাবেন যেন ভাবছেন, ” আমি মরছি আমার নিজের জ্বালায় আর তুমি আছ জামাই ষষ্ঠী নিয়ে। চিত্তে সুখ আর ধরে না। ” কিন্তু মুখে বলবেন, ” কি-ই জানি ভাই… জামাই যা ব্যস্ত মানুষ
ছুটিই পায় না। তাছাড়া চারদিকের যা অবস্থা। মানুষের মনে কি আর সে সুখ আছে? ” অথচ এই ব্যক্তিটিকেই জামাইষষ্ঠীর দিন দেখবেন সক্কাল সক্কাল মাংসের লাইনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। ঠেলে গুঁতিয়ে মাথা ঢুকিয়ে প্রাণপণে চেঁচিয়ে চলেছেন, ” ভাই আমাকে দু’কিলো, আগে আমাকে…সিনার দিকে সিনা…চাপের দিক থেকে একটু…চাপ… চাপ”। একে ভীড়ের চাপ, অন্যদিকে খাসির ” চাপ” চতুর্দিকে চাপ সামলাতে সামলাতে শ্বশুরদের লুঙ্গির গিঁট খুলে যাওয়ার অবস্থা। দ্বিচারিতার  এমন চিত্র এই বাংলাতেই বোধহয় সম্ভব।

জামাইষষ্ঠীর ঠিক আগের দিন খবরের কাগজে ,” জামাইষষ্ঠীর বাজার আগুন, শ্বশুরকুলের মাথায় হাত… ” এ ধরনের ক্যাপশন সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। ঠিক তার নিচেই বাজারদর। আলু নৈনিতাল এত, আলু চন্দ্রমুখী এত, আলু বর্ধমান-এত। এক আলুরই চোদ্দ রকম ফিরিস্তি। কাঁচালঙ্কা থেকে কাগজিলেবু , মাছ মাংসের দর থেকে শুরু করে ফলফলাদির বাজারদরের এক আগুনে তালিকা। দেখে মনে হতো পরদিন কেউ হয়ত  ছ্যাঁকা খাওয়ার ভয়ে বাজারেই যাবে না। কিন্তু পরদিন সকালেই দেখতাম ছবিটা আমুল বদলে গেছে।  শ্বশুররা সব হাতে ব্যাগ ঝুলিয়ে কে কার আগে বাজারে ছুটবেন তার কম্পিটিশন চলেছে। যে করেই হোক যত দামই হোক বাজারের সেরা জিনিসটা জামাইয়ের পাতে ফেলে চমকে দিতে হবে। হুঁ, হুঁ বাবা, শ্বশুর ভি একদিন জামাই থা।

 

অন্যদিকে ফিনফিনে ধুতি আর পাঞ্জাবি পরিহিত নব কার্তিক জামাইয়ের দল বৌ-বাচ্চা বগলদাবা করে হাতে মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে শ্বশুর বাড়ির সামনে রিক্সা থেকে ল্যাণ্ড করতো একটু বেলা করে। মুহুর্তে ঘিরে ফেলা উচ্ছসিত শ্যালিকাদের দেখে ঠোঁটে তার চাপা হাসি । মিষ্টি মিষ্টি মাপা কথা। দু চোখে ” আমি নিমিত্ত মাত্র, সব তাঁর ইচ্ছে, জয়ত্তারা” এমন দৃষ্টি। ভাবটা এমন নেহাৎ বৌ-ছেলেমেয়ের চাপে আসতে হল। নইলে কি আর অদ্দূর থেকে ধকল সয়ে জামাই ষষ্ঠী করতে আসা যায়! আর এই জামাই -ই শেষপর্যন্ত দেখা গেল জামাই ষষ্ঠী পেরিয়ে দুর্গাষষ্ঠী ছুঁইছুঁই, যাওয়ার আর নাম গন্ধ নেই। ততদিনে শ্বশুর নিজেই হয়ত বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালাবেন কিনা ভাবছেন।

রঙ্গে ভরা এ বঙ্গভূমে পুজো, পার্বণ, ব্রতকথার কোনও শেষ নেই। জামাই ষষ্ঠী তারই একটি অঙ্গ। তবে নামে জামাই ষষ্ঠী হলেও আদতে এই পার্বণটির সাথে জামাইয়ের কিন্তু কোনও সম্পর্কই ছিল না কস্মিনকালেও।  জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের এই দিনটি আসলে অরণ্যষষ্ঠী হিসেবে পরিচিত।  এর পেছনে একটি লোককথা প্রচলিত আছে। তা অনেকেই জানেন। তাহলে অরণ্য ষষ্ঠী জামাইষষ্ঠী নামে জনপ্রিয় হলো কেন? আসলে মা ষষ্ঠী হলেন বংশবৃদ্ধির দেবতা। সুস্থ্য সবল সন্তান ও তাদের দীর্ঘায়ু কামনায় মায়েরা এই ব্রত পালন করে থাকেন।  বংশবৃদ্ধি আসলে একপ্রকার নিবিড় চাষবাস প্রকল্প। গোঁফের রেখা দেখা না দিতেই ছেলেরা যে চাষবাসে লেগে পড়ার জন্য ছটফট করে। অকর্ষিত জমিও ঘুমের মধ্যে লাঙলের স্বপ্নে দেখে হেঁচকি তোলে। যা হোক, উচ্চফলনশীল ভাল জাতের গাছ ও ফল পাওয়ার প্রাথমিক শর্তই যেমন হলো রোগমুক্ত, সবল, সতেজ বীজ, সুস্থ্য সন্তান লাভের ক্ষেত্রেও তেমনি। তা সবল সতেজ বীজ তো আর বাতাসে কাপাস তুলোর  মতো ভেসে এসে টুপ করে খসে পড়বে না জমিতে। সেই বীজের ধারক ও বাহক ফলটিই হলো জামাতাগণ। তাই চাষবাস যাতে ভাল হয় জমির যত্নের সাথে বীজফলেরও যত্নের দরকার। আর সেই লক্ষ্যেই বীজফলটিকে যত্ন করার দিন হিসেবে এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়।  বংশবৃদ্ধির দেবতা মা ষষ্ঠীকে তুষ্ট করার পাশাপাশি মায়ের ডিরেক্ট এজেন্ট জামাতাকুলকে সতুষ্ট করার দিন হিসেবে অরণ্যষষ্ঠীর নাম বদলে রাখা হল জামাই ষষ্ঠী। মা এখানে গৌণ, জামাইরাই মুখ্য।

সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে দিনকাল। বদলে গেছে মানুষের আচার বিচার, জীবনযাত্রার মান ও ধরণ। বিশেষ করে রুচিবোধ। সবকিছুই এখন বড় নৈর্ব্যক্তিক। সবকিছুই এখন সেই গুঁফো কত্তার গোঁফ ছেঁটে ট্রিম করে ফেলার মতো। শহরাঞ্চচল তো বটেই অজগাঁয়েও মনে হয় ষোড়ষোপচার ব্যঞ্জন বেড়ে পাখা হাতে ঘোমটা দিয়ে বসে শাশুড়িরা কেউ আর জামাইয়ের অপেক্ষা করে না। মাছ মাংসের দোকানে ভীড় থাকলেও  এই সুইগি জোমাটোর যুগে অনেক শাশুড়িরাই কেউ আর কিচেনমুখো হন না। ডিনারে টেবিল বুক করেন শ্বশুর। অফিস ফেরতা ফরচুনার চেপে জামাই, মেয়েকে নিয়ে ঠিক সময়ে চলে আসে টেবিলে। কর্পোরেট জামাইরা কেউ মিষ্টির হাঁড়ি নিয়ে আসে না । বরং টেবিলে বসেই জামাই  জিজ্ঞেস করে,

-” টুডেস ড্রিংকস  ইজ ফ্রম মাই সাইড। তুমি কী প্রেফার করবে ড্যাড। স্কচ অর শ্যাম্পেন…”

-” আমার তো জানই সেই বৃদ্ধ সন্ন্যাসী…বাট টুডে আ’ইল গো উইথ হোয়াইট রম… ”
-” ওক্কে ফাইন। অ্যান্ড ইউ, মম্? জামাইয়ের প্রস্তাব শুনেই আঁতকে ওঠেন শ্বশুর।

-” ওকে দিও না, ওকে না। সেবারে কেমন ধেড়িয়েছিল মনে নেই” শ্বশুরের কথায় শাশুড়ি তৎক্ষণাৎ রিয়াক্ট করে,

” ডোন্ট লিসন হিজ রাবিশ টক ডিয়ার…আমি ভদকা খাবওওও” আদুরে আবদার ঝরে পড়ে শাশুড়ির গলায়।

” আমি জিন্… উইথ লাইম ” মোবাইল স্ক্রল করতে করতে মেয়ে পাশ থেকে অ্যাড করে।

সুস্বাদু পঞ্চ ব্যঞ্জন আর পানীয় সহযোগে লেট নাইট পার্টি সেরে হাই সোসাইটির এই পরিবার যখন বাড়ি ফিরছে জামাই ষষ্ঠী ততক্ষণে জামাই-সপ্তমী হয়ে গেছে। শ্বশুরের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে গাড়ি থামতেই দেখা গেল শাশুড়ির অবস্থা তখন”… বাড়ির ভেতর বাড়ি, পায়ের ভেতর পা, বুকের ভেতর বুক, পা থেকে মাথা পর্যন্ত টলমল করে… । ” একটু বাদেই দেখা গেল জামাই শাহরুখ খান হয়ে  শাশুড়ি কাজোলকে  গাড়ি থেকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দোতলার ফ্ল্যাটে। গ্রাউন্ড ফ্লোরের ল্যান্ডিং এ দাঁড়িয়ে দোদুল্যমান  শ্বশুরমশায় ঢুলু ঢুলু চোখে  অমরিশ পুরির মত চেয়ে আছেন সেই অপূর্ব আরোহণের দিকে। জামাইষষ্ঠীর এ উত্তরণের ছবি হাই সোসাইটি থেকে চুঁইয়ে নিম্নগামী হতে আর বোধহয় বেশি দেরি নেই।