স্ক্রিন-টাইম বাড়ায় স্কুলের বাচ্চাদের মধ্যে মাইয়োপিয়া ও ‘স্কুইন্ট আই’ সমস্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে ২০২০ থেকে। একথা জানিয়েছে ডাঃ আগরওয়ালস আই হসপিটাল। ডাঃ আগরওয়ালস আই হসপিটালের (ওয়েস্ট বেঙ্গল) কনসাল্টেন্ট অপথালমোলজিস্ট ডাঃ সমর সেনগুপ্ত জানান, অতিমারির বছরে ৫ থেকে ১৫ বছরের ছোটোদের মধ্যে বার্ষিক মাইয়োপিয়া বৃদ্ধির হার ১০০ শতাংশ এবং ‘স্কুইন্ট আই’ সমস্যা পাঁচ গুণ বেড়েছে। ২০২০ সালে লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকে ছোটোদের মধ্যে মাইয়োপিয়ার বৃদ্ধি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ‘চিলড্রেন্স আই হেলথ অ্যান্ড সেফটি অ্যাওয়ারনেস মান্থ’ উপলক্ষে ডাঃ আগরওয়ালস আই হসপিটালের পক্ষে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ডাঃ সেনগুপ্ত জানান, সাম্প্রতিক অতিমারিকালে শিশুদের মধ্যে অস্বাভাবিক সংখ্যায় ‘অ্যাকিউট অনসেট কমিট্যান্ট এসোট্রোপিয়া’ বেড়েছে। মাইয়োপিয়া বৃদ্ধির হারও উদ্বেগজনক। শিশুদের মধ্যে প্রায় ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি হতে দেখা গেছে।
ডাঃ সেনগুপ্ত বলেন, লকডাউনের সময়ে পড়াশোনা বা অন্য কাজের জন্য বিরতিহীনভাবে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও ট্যাবলেট ব্যবহার বেড়েছে, সেইজন্য এই সমস্যাও বেড়েছে। মাইয়োপিয়া বৃদ্ধি রোধের জন্য চিকিৎসা হিসেবে ‘লো ডোজ অ্যাট্রোপিন আই ড্রপ’, ‘প্রোগ্রেসিভ অ্যাডিশন লেন্স’, মাল্টিফোকাল চশমা ও স্পেশাল কনট্যাক্ট লেন্স ব্যবহারের মতো বিভিন্ন উপায়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি