চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চলছে জোরকদমে অক্সিজেন ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ

চাঁচল মহকুমার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য বেড বাড়ানো এবং ২৪ ঘন্টার জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানালেন তৃণমূল বিধায়ক নিহার ঘোষ। যেহেতু মালদা সদর থেকে চাঁচলের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। সেক্ষেত্রে অতি সহজেই চাঁচল মহকুমার বাসিন্দাদের মালদা মেডিকেল কলেজে এসে চিকিৎসা করাটাও খুব কষ্টকর। এক্ষেত্রে চাঁচল এলাকার বাসিন্দাদের সমস্যার কথা মাথায় রেখেই চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নতুন করে কোভিড -১৯ হাসপাতাল চালু এবং অক্সিজেন সরবরাহ করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন বিধায়ক নিহার ঘোষ। ইতিমধ্যে তার এই প্রস্তাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছে পাঠিয়েছেন তিনি । পাশাপাশি চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে চিকিৎসা পরিষেবার মান আরও উন্নত করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক নিহার ঘোষ ।

উল্লেখ্য, করোণা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চাঁচল মহাকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নতুন করে কোন কোভিড পরিষেবা চালু হয় নি। যা নিয়ে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহকুমার রোগীদের। এছাড়াও অক্সিজেনের সুব্যবস্থা নিয়েও নানান সমস্যার মধ্যেও পড়তে হয়েছে রোগী ও তাদের পরিজনদের। এই পরিস্থিতিতে এখন চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ন্যূনতম এই দুটি আধুনিক পরিষেবা রাখার ইতিমধ্যে জোর দিয়েছে মহকুমা স্বাস্থ্য দপ্তর। আর সেই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে চাঁচলের তৃণমূল বিধায়ক নিহার ঘোষ। চাঁচলের বিধায়ক নিহার ঘোষ বলেন , চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে করোণা রোগী সংক্রমণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পরিষেবার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। । ইতিমধ্যে এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ১০০ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে রোগীদের রেখে নিয়মিত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। এছাড়াও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আলাদা করে অক্সিজেন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

বিধায়ক নিহার ঘোষ আরো বলেন, চাঁচল মহকুমা থেকে মালদা মেডিকেল কলেজের দূরত্ব অনেকটাই । কাজেই হঠাৎ করে কোনো রোগী করোনায় সংক্রমিত হলে সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । এক্ষেত্রে মালদা মেডিকেল কলেজের উপর ভরসা না রেখে, চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অক্সিজেন ট্রিটমেন্ট প্লান্ট তৈরি হবে। যেখানে প্রতিদিন  মিনিটে অন্তত এক হাজার লিটার করে অক্সিজেন তৈরি হবে এবং সরাসরি সেন্ট্রাল পদ্ধতির মাধ্যমে চাঁচলের কোভিড সহ বিভিন্ন বিভাগ গুলিতে এই অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। এক্ষেত্রে রোগীদের চিকিৎসা পরিসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনরকম ত্রুটি থাকবে না। ইতিমধ্যে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে জোরকদমে অক্সিজেন ট্রিটমেন্ট প্লান্টের কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি ১০০ বেডের করোনা বিভাগ চালুসহ সমস্ত রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।