কোভিডের চোখরাঙানির মাঝেই আসতে চলেছে বাঙ্গালীর গর্ব দুর্গাপূজা। গত বছর করোনার আবহের মাঝেই কেটেছে দুর্গাপূজা, এবারও ব্যতিক্রম হলো না তার। ঢাকে কাঠি পড়তে আর মাত্র মাস তিনেকের ব্যবধান। এবারও করোনা আবহেই দুর্গাপুজো হচ্ছে কলকাতাতে। করোনা বিধি মেনে পুজো করতে গাইডলাইন প্রকাশ করল ফোরাম। হাইকোর্টের নির্দেশে গত বছর পুজো মণ্ডপের বাইরে থেকেই ঠাকুর দেখতে হয়েছিল বাঙালিকে। তাই এ বারে অন্য পথে হাঁটার পরিকল্পনা পুজো আয়োজকদের। এই পরিস্থিতিতে ১৪ দফার গাইডলাইনস প্রকাশ করল ফোরম অফ দুর্গোৎসব। ঠাকুরের ভোগ থেকে মণ্ডপসজ্জা— সব কিছুতেই করোনাকে মাথায় রেখে বদল আনার প্রস্তাব ফোরামের। কলকাতার ছোট-বড় কমিটি-সহ সাড়ে চারশ পুজো কমিটি এই ফোরামের অন্তর্ভুক্ত।
এ বছর এমন মণ্ডপসজ্জা বা থিম করার পরামর্শ তাঁদের, যাতে দূর থেকেই ঠাকুর দেখতে পান দর্শনার্থীরা। খোলামেলা মণ্ডপ করার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি পুজোর সঙ্গে জড়িত ক্লাবকর্তা থেকে শিল্পী, ঢাকি থেকে পুরোহিদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে চাইছে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। রাজ্য সরকারের কাছে এই সম্ভাব্য নিয়ম প্রস্তাব হিসেবে পাঠাবে পুজো কমিটিগুলো। সেখান থেকে মনোনিত হলেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দেবে ফোরাম।
ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, কলকাতায় ইতিমধ্যেই একটি টিকাকরণ ক্যাম্প করা হয়েছে। বর্ধমানে ফোরামের উদ্যোগে জেলার পুজো কমিটিগুলোর জন্য টিকাকরণ করা হয়েছে। পুজোর সঙ্গে যুক্ত সকলকে টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ করতে আরও ক্যাম্প করা হবে ভবিষ্যতে। খুব শীঘ্রই দমদম পার্ক এবং উত্তর কলকাতাতেও পুজোর সঙ্গে যুক্তদের জন্য বিশেষ টিকাকরণ ক্যাম্প করা হবে। অন্যদিকে তিনি জানান, কলকাতার দুর্গাপুজোর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকা অর্থনীতি জড়িয়ে। একদিকে করোনার জন্য লকডাউন, তাতে অর্থনীতি বিপর্যস্ত, অন্যদিকে আমফান আর ইয়াসেও ক্ষতি মানুষের জীবন জর্জরিত করে তুলেছে। পুজোর বাজার অর্থনীতির দিকে আশার আলো দেখাচ্ছে পুজো কমিটিগুলিকে। শাশ্বত বসু আরও বলেন, পরোক্ষভাবে প্রায় দেড় লক্ষ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয় কলকাতার দুর্গোৎসবকে ঘিরে।