সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে দলের সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর থেকেই গত দুমাস ধরে একের পর এক তোপ দেগেছেন দলের বিরুদ্ধে । দলে নিজের আত্ম মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বারবার সোচ্চার হয়েছিলেন বিধায়ক মিহির গোস্বামী। কোচবিহারের রাজনীতিতে কম জলঘোলা হয়নি। অভিমানী এই নেতার মান ভাঙাতে এবং দলে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে কোচবিহার তৃণমূলের প্রায় সব নেতাই তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন । জেলার যুবনেতা অভিজিৎ দে, উন্নয়নমন্ত্রী রবি ঘোষ সহ তাবড় তাবড় নেতারা বিক্ষুব্ধ মিহিরের মান ভাঙাতে ব্যর্থ । মাঝে বিজেপির সাংসদ মিহিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলত্যাগের জল্পনা আরো বাড়ে। এই টালবাহানায় অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের দলত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন
তিনি নিজের ফেসবুক একাউন্টে জানিয়েছেন যে ”গত দশ বছর যে তৃণমূল দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দলের মধ্যে বারবার অবহেলিত ও অপমানিত হয়েছি, দলের রাজ্য নেতৃত্ব তাতে নীরব ও প্রচ্ছন্ন মদত যুগিয়ে গিয়েছেন, দলনেত্রীকে সেসব কথা বারংবার জানিয়েও পরিস্থিতির ইতরবিশেষ হয়নি। আজ সব সহ্যের সীমা অতিক্রম করার সময় অনুভব করেছি, বাইশ বছর আগে যে দলটির সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম, আজকের তৃণমূল সেই দল নয়। এই দলে আমার জায়গা নেই। তাই আজ এই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই।”