শনিবার রাতের টানা বৃষ্টিতে প্ৰাণ নিল দুই যুবকের৷ এই টানা বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে গুয়াহাটির নিকটবৰ্তী এক আবাসীক এলাকায়৷ জানা গেছে, গতকাল রাতের প্ৰবল বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি ধসায়
শুয়ে থাকা তিন যুবকের উপর মাটি চাপা পড়ে৷ সৌভাগ্যক্রমে এরই মধ্যে একজন যুবক প্ৰাণ বাঁচাতে সক্ষম হয়৷ আর বাকী দুজন মাটির চাপায় প্ৰাণ হারায়৷ ওই মৃত দুই যুবক ক্রমে বিশাল প্ৰধান(১৯) এবং মোহন প্ৰসাদ গিমেরি(২০)৷ স্থানীয় বাসিন্দারা কাক ভোরে ঘটনাটি জানতে পেরে এসডিআরএফ বাহিনীকে খবর দেয়৷ এরপর এসডিআর এফ বাহিনীর তৎপরতায় দুই মৃত যুবককে মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করা হয়৷ খবর পেয়ে যোরাবাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুঁটে এসে সেখান থেকে মৃত দুই যুবককে জিএমসি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ময়না তদন্ত সম্পূৰ্ণ করায়৷ এরপর বিশালের মৃতদেহ পরিবারের হাতে সপে দেওয়া হয়৷ আর মৃত মোহন প্ৰসাদের মৃতদেহ এখনও জিএমসি হাসপাতালের মৰ্গেই পড়ে আছে৷ কেননা তাঁর পরিবারের কেউ যোরাবাটে থাকেন না৷ মৃত মোহনের পরিবার কৰ্মসূত্ৰে শ্বিলং এ থাকে যদিও, তাঁরা নেপালের বাসিন্দা৷ যোরাবাট থানার পুলিশ সূত্ৰে জানা গেছে মোহনের মৃত্যুর খবর তাঁর পরিবারকে জানানো হয়েছে৷ এরপর তাঁরা শ্বিলং থেকে ছুঁটে আসছেন৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানানো অনুযায়ী শনিবার রাতে বিশালের বাড়িতে মোহন প্ৰসাদ সহ আরেক বন্ধু বেড়াতে এসেছিল৷ কিন্তু গতকাল সন্ধ্যার থেকে অনবরত বৃষ্টি দেওয়ায় যোরাবাটের পাহাড়ের জলে ৩৭নং জাতীয় সড়ক জলের নীচে ডুবে গিয়ে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়৷ ফলে বিশালের বাড়িতেই দুই বন্ধু রাতে আটকে বাধ্য হয়৷ সেটাই দুই বন্ধুর জীবনের শেষ রাত্ৰ হয়ে দাঁড়ায়৷ কেননা তিন বন্ধু একসাথে শুয়ে থাকা অবস্থায় মধ্য রাতে পাহাড়ের মাটি ধসে বিশালের বাড়িতে পড়ায় এভাবে দুই যুবকের প্ৰাণ হারাতে হয়৷ আর এই মৰ্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্ৰ করে অঞ্চল জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে৷