গণতন্ত্রকে পিষে মারছে মায়ানমার সেনা

সেনা শাসনের বিরুদ্ধে পথে নেমে মৃত্যু হল আরও ৮ জন আন্দোলনকারীর। শনিবার সকাল থেকে বেশ উত্তপ্ত ছিল আউংবান শহর। ক্রমশ পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে চলে যাচ্ছে মায়ানমারে। সেনা অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আগেই। এবার আরও একধাপ এগিয়ে বেসরকারি সংবাদপত্র বন্ধ করে দিল জুন্টা সরকার। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালেই শেষ সংবাদপত্র ছাপা হয় সে দেশে।

ইতিমধ্যে প্রায় ৩০ জন সাংবাদিককে জেলে আটক করে রাখা হয়েছে। সংবাদপত্রের ওপর আক্রমণ প্রমাণ করে গণতন্ত্রকে পিষে মারছে মায়ানমার সেনা। আবার কবে সংবাদপত্র প্রকাশিত হবে কোনও ঠিক নেই। দেশের মানুষের আওয়াজ দাবিয়ে রাখতে কোনও কিছুর খামতি রাখছে না জুন্টা সরকার। দেশের খবর যাতে বাইরে না যায় সেই চেষ্টা করে চলেছে তাঁরা।

এদিকে আটক নেত্রী সু চির নামে রোজই একটি করে নতুন অভিযোগ আনছে সেনাবাহিনী, যার অধিকাংশই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিশ্চিত বিদেশি কূটনীতিকরা। এখন দেখার আমেরিকার নেতৃত্বে পাশ্চাত্য দেশগুলো মায়ানমার সেনাকে শিক্ষা দিতে কোনও কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করে কিনা। মাথার ওপর জল চলে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, খাদ্যশস্যের দাম নাগালের বাইরে পৌঁছে গিয়েছে। জ্বালানির দাম আকাশছোঁয়া। সবচেয়ে বড় কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক হুমকি সত্ত্বেও বাগে আনা যাচ্ছে না জুন্টা সরকারকে। মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে চিনের মদত রয়েছে মনে করছেন অনেকেই।