কয়েক বছর হয়ে গেলেও ঘরে ফেরা হয়নি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের

বিভীষিকাময় সেই দিনগুলি। অভিশপ্ত দিনগুলোর পর কেটে গিয়েছে প্রায় ৩০ বছর। কিন্তু এখনও নিজের ঘরে ফিরতে পারেননি বহু কাশ্মীরি পণ্ডিত। এখনও সেই বিষ ভরা দিনগুলোর স্মৃতি তাড়া করে বেড়ায় তাদের। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নামের একটি ছবি যা ১৯৯০ সালের সেই ঘটনা তুলে ধরেছে। এই ছবি নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও কাশ্মীরি পণ্ডিতদের নাড়া দিয়েছে এই সিনেমা। এই ছবি দেখার পরেই এবার কাশ্মীরে ফিরে আসার তাগিদ বেড়ে গিয়েছে তাদের। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন সিআরপিএফের ডিজি কুলদীপ সিং। তিনি বলেছেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতরা চাইলেই ঘরে ফিরে আসতে পারেন।

কুলদীপ জানাচ্ছেন, বর্তমানে কাশ্মীরের অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো। উপত্যকা এখন অনেকটাই শান্ত। পণ্ডিতদের ফেরার উপযুক্ত পরিবেশও রয়েছে। কিন্তু তারা ফিরবেন কী ফিরবেন না সেই সিদ্ধান্ত তাদের নিতে হবে। তারা যদি ফিরতে চান এখন তাহলে ফিরতেই পারেন। তবে এখানেও বিতর্ক রয়েছে। আসলে এই মুহূর্তে শুধু উপত্যকায় প্রায় ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ছেড়ে যাওয়া পরিত্যক্ত বাড়িতেই তাদের থাকার বন্দোবস্ত করা। অনেক সময়ে অভিযোগ উঠেছে যে, সিআরপিএফ বাড়ি ছাড়েনি বলেই পণ্ডিতরা ফিরতে পারেনি। তাই এখন সিআরপিএফের ডিজি যা বলছেন তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন যে, এই ধরণের কিছু বাড়িতে জওয়ানরা থাকেন। তবে বৈধ কেউ এলেই তাঁকে সেই বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ইতিহাস নিয়ে ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নিয়ে চর্চা, আলোচনা, বিতর্ক সবই বহাল এখনও। দেশবাসীর একাংশ এই ছবিতে মুগ্ধ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু অন্য অংশের বক্তব্য, স্রেফ একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা ছড়াতেই ব্যবহার করা হয়েছে কাশ্মীরী পণ্ডিতদের ইতিহাস। এটি একটি ‘প্রোপাগান্ডা’ সিনেমা বলেও তোপ দাগা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ বিজেপির সব নেতারাই এই ছবির প্রশংসা করেছেন।