করোনা মোকাবিলায় অ্যান্টি-হেলমিনিটিক ড্রাগ নিকলসামাইড-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করল কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ বা সিএসআইআর এবং লাক্সাই লাইফ সায়েন্সেস।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীদের জন্য এই নিকলসামাইড ওষুধটি কতটা কার্যকরী হবে, তা জানতে শুরু হল দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশাবাদী লাক্সাই লাইফ সায়েন্সেসের সিইও রাম উপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এতদিন নিকলসামাইড ওষুধটি ফিতাকৃমির সমস্যার জন্য বড় ও ছোটদের খাওয়ানো হতো। ওষুধটি করোনা ভাইরাসকে কাবু করতে কতটা সক্ষম, তা জানতে ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে। এবার শুরু হল দ্বিতীয় পর্যায়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে থাকা সিএসআইআর যখন করোনা মোকাবিলায় নতুন ওষুধের ট্রায়াল শুরু করল, তখন শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ওপর শুরু হচ্ছে কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।
এইমস সূত্রে খবর, ট্রায়ালের জন্য বয়সের ভিত্তিতে তিনটি ভাগ করা হয়েছে। প্রথম পর্বে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ওপর এই ট্রায়াল হবে। দ্বিতীয় পর্বে ৬ থেকে ১২ বছর এবং তৃতীয় পর্বে ২ থেকে ৬ বছয় বয়সী শিশুদের ওপর কোভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে। শিশুদের ক্ষেত্রেও ৬ মিলিগ্রাম ডোজ দেওয়া হবে। ২৮ দিনের ব্যবধানে দেওয়া হবে দুটি ডোজ। প্রথম ডোজ দেওয়ার আগে সবার অ্যান্টিবডি টেস্ট হবে। ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়ার পর কড়া নজরদারিতে রাখা হবে সকলকে।