লকডাউনে চাকরি না গেলেও এবার আনলকে আইআরসিটিসি প্রায় চারশো কর্মীকে ছেঁটে ফেলতে চলেছে। ৪০০ জনই ম্যানেজমেন্ট পাস করে আইআরসিটিসিতে যোগ দিয়েছিলেন।কনট্রাকচুয়াল হসপিটালিটি সুপারভাইজার পদের এই কর্মীরা ট্রেনে বিভিন্ন দায়িত্ব সামলান। সংশ্লিষ্ট কর্পোরেট সংস্থা জানিয়েছে, দু’বছরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় আর তা বাড়ানো হচ্ছে না। প্রথম দফায় যে সকল কর্মী যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২২ এপ্রিল। প্রথমেই কলকাতার কর্পোরেট অফিসের ৪০ জন কাজ হারাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।
এই মুহূর্তে কলকাতায় ওই পদে চুক্তিভিত্তিক ৬০ জন রয়েছেন। ছেলেমেয়ে উভয়েই এই পদে রয়েছেন। প্রত্যেকেই হোটেল ম্যানেজমেন্ট পাস করেছেন। ২ এপ্রিল বিহার রাজ্যসভার সাংসদ মনোজকুমার ঝা লিখিত আবেদনে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে জানিয়েছেন, উচ্চশিক্ষিত এই মেধাবী পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে এঁদের কাজে বহাল রাখা হোক। সংস্থার কলকাতা দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আইআরসিটিসি দিল্লির সদর অফিস থেকে এখনও মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের কোনও চিঠি আসেনি। ফলে চুক্তি শেষ হলে আর পুনর্বিবেচনা করবে না কর্পোরেশন।গত বছর মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর এই কর্মীদের ট্রেনে কাজ বন্ধ ছিল। তবুও পুরো বেতন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সংস্থার। আইআরসিটিসির এক আধিকারিকের কথায়, মেল, এক্সপ্রেসে সংস্থা পরিচালিত ক্যাটারিংয়ে খাবারের তদারকি থেকে খাবারের বিশুদ্ধতা, বিল সমস্যা, যাত্রী-অভিযোগ সবই তাঁদের দায়িত্বে থাকে। একটি ট্রেনে একজনই সুপারভাইজার থাকেন। ছেলেরা দূরপাল্লার ট্রেনগুলির তদারকি করলেও মেয়েদের স্বল্প দূরত্বের ট্রেনগুলিতে পাঠানো হয়। কর্পোরেশনের আর্থিক পরিস্থিতি যথেষ্ট অনুকূল নয় বলে জানা গিয়েছে। কোভিড পরিস্থিতি এখনও বর্তমান। ফলে পর্যটন, ভ্রমণে আগ্রহ তলানিতে। যার দরুন প্রচণ্ডভাবে সংস্থাকে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই এই কর্মীদের চুক্তি শেষ করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছে আইআরসিটিসি বলে জানানো হয়েছে।