শহরের রাস্তায় পড়ে রয়েছে শিশুর কাটা মুন্ডু। যা দেখে শিউরে উঠতে হয়েছে পথ চলতি মানুষদের। কোথা থেকে কিভাবে শিশুর কাটা মুন্ডু এলো তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদা শহরে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে শহরের অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত কৃষ্ণপল্লীতে। আর সেই শিশুর কাটা মুন্ডু দেখতে ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানেই গুজব রটে যায় গুনিন বা ওঝাদের খপ্পরে পড়ে নাকি শিশুগবলি দেওয়া হয়েছে। তবে এটা গুজব না সত্যি ঘটনা সে ব্যাপারে অবশ্য ইংরেজবাজার থানার পুলিশ পরিষ্কার করে কিছু জানায় নি।
তবে ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় তদন্তে আসে পুলিশ। রাস্তা থেকে শিশুর কাটা মুন্ডু উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা। পুরো বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চর্চা এবং আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
এদিন কৃষ্ণপল্লি বাজার সংলগ্ন রাস্তাতেই পড়েছিল শিশুর গলা কাটা মুন্ডুটি। সেটি নিয়ে কুকুর এবং কাক টানাহেঁচড়া করছিল। বিষয়টি দেখতে পান পথচলতি কিছু মানুষ। এরপরই গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ কর্তারা। কিভাবে শিশুর কাটা মুন্ডু এলাকায় এল তা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। কেউ কেউ বলতে থাকে গুণীদের শিশুবলির কাজ এটা। কিন্তু এরকম দাবির কোন সত্যতা আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও উদ্ধার হওয়া ওই শিশুর কাটা মুন্ডু বিষয়টি উদঘাটন করতে পারে নি কেউ। তবে একাংশ মানুষের এই কথাকে রটনা হিসাবে ধরে নিয়েছে পুলিশ।
এলাকার কিছু মানুষের অভিযোগ, কেউ বা কারা এখানে শিশুর কাটা মুন্ডুটি ফেলে দিয়ে পালিয়েছে। কিন্তু দেহটি পাওয়া যায় নি। এরকম নির্মম ঘটনার পিছনে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের খোঁজ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কৃষ্ণপল্লী এলাকার বাসিন্দারা।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অনুমান করছে যে, দুদিন আগে মালদা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে হাইড্রেন থেকে সদ্যজাত একটি শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই দেহতে মুন্ডু বিচ্ছিন্ন ছিল। হয়তো বৃষ্টির জলে সেই মুণ্ডটি ভেসে ওই এলাকায় আসতে পারে। কিন্তু পুলিশের এই অনুমান সংশ্লিষ্ট এলাকার অনেক বাসিন্দারা মানতে নারাজ। মেডিকেল কলেজ থেকে কৃষ্ণপল্লির এই রাস্তার দূরত্ব অনেকটাই। আবার ওই রাস্তাটি উঁচু। কাজেই বৃষ্টির জলে সেখানে এভাবে কোন কাটা মুন্ডু আসতে পারে না বলেও দাবি করেছেন একাংশ বাসিন্দারা। নিছকই শিশুর হত্যাকাণ্ড বলেই দাবি করেছেন কেউ কেউ। আবার কেউ বলছেন, গুনিন বা ওঝাদের কাজ এটি। শিশুবলি দেওয়া হয়েছে আশেপাশের কোন এলাকায়। হয়তো তারপরে ঝাড়ফুঁক বা অজানা কারণে এই এলাকায় ওই শিশুর কাটা মুন্ডটি ফেলে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।