কিমের বোনের কড়া হুঁশিয়ারির পরেই যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দুই কোরিয়া

 সিওল: দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে শীঘ্রই কঠোর ব্যবস্থা নেবে উত্তর কোরিয়া। তাদের উচিত শিক্ষা দিতে সেনাবাহিনী ‘প্রস্তুত’ হয়ে রয়েছে। এবার এমনই হুমকি দিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। আমরা শীঘ্রই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’ একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘দল, দলের শীর্ষ নেতা ও রাষ্ট্র আমাকে ক্ষমতা দিয়েছে। সেই ক্ষমতাবলেই আমি সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে শত্রু দমনের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিচ্ছি।’ দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে যে সামরিক আক্রমণ চালানো হবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কিম জংয়ের মুখ্য উপদেষ্টা তথা তাঁর বোন। উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত শহর ক্যাসংয়ে দাঁড়িয়ে কিম ইয়ো জং জানিয়ে দেন, শত্রুদের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তার ভার সেনার জেনারেলদের দেওয়া হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ যোগাযোগ অফিস পুরোপুরি ধসে যাওয়ার মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা যাবে।
এর আগে পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, সীমান্তে উড়ন্ত বেলুনের মাধ্যমে কিম জং উন সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ থেকে বেলুনের মাধ্যমে লিফলেট পাঠানো হচ্ছে। ওই লিফলেটে কিম জংয়ের পরমাণু নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ তোলা হয় পিয়ংইয়ংয়ের তরফে। এনিয়ে গত সপ্তাহে সিওলের কড়া নিন্দাও করেন কিমের বোন। লিফলেট ক্যাম্পেনিং বন্ধ করতে সিওল ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি অভিযোগও তুলেছেন। এরপরেই সুর চড়িয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়া কী করেছে, সেটা তাদের ভালোভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে।
উত্তর কোরিয়ার এই প্রভাবশালী নেতার কড়া হুঁশিয়ারির পরেই সতর্ক হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই একদফা বৈঠক করেছেন সেদেশের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার তরফে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি তৈরি রাখা হয়েছে।