এক মঞ্চে পার্থপ্রতিম রবীন্দ্রনাথ ,অনন্ত রায়রা

নেতাজির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দেখা গেল পক্ষ-বিপক্ষ-ডান-বাম সবাই। হয়তো নেতাজিও এটাই চেয়েছিলেন । আজ ১২৫ তম নেতাজি জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এমনই চিত্র ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়। কোচবিহার সাগরদিঘির পারে নেতাজি মূর্তিতে মাল্যদান অনুষ্ঠানে একইমঞ্চে শ্রদ্ধা জানান বাম-কংগ্রেস;তৃণমূল নেতারা। জানা গেছে এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শাসকদলের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ কনফেড চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় এর পাশাপাশি প্রাক্তন বনমন্ত্রী সিপিআই(এম) কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায়, সিপিআই(এম) দলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তারিণী রায়, কোচবিহার পৌরসভার সিপিআই (এম)এর প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা মহানন্দ সাহা সহ ফরওয়ার্ড ব্লক এর বর্তমান বিধায়ক নগেন্দ্রনাথ রায়, প্রাক্তন বিধায়ক অক্ষয় ঠাকুর এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক কেশব রায়কে।

সূত্রের খবর , বিষয়টি আগে থেকে জানা না থাকায় বারোটা বাজতেই এই নেতাজি মূর্তির পাদদেশে পৌঁছে যান বাম ও কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা। তারা গিয়ে দেখেন সংশ্লিষ্ট এলাকায় শুরু হবার মুখে এই সরকারি অনুষ্ঠান। অগত্যা রাস্তার পাশেই দাঁড়িয়ে পড়েন বাম- কংগ্রেস নেতা কর্মীরা বিষয়টি চোখে পড়ে যায় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের। এরপর আর কালবিলম্ব না করে হাত ধরেই এই বাম কংগ্রেস নেতাদের মঞ্চে বসতে অনুরোধ করেন তারা। এই অনুরোধ ফেলতে পারেননি বাম -কংগ্রেস নেতারা। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং পার্থপ্রতিম রায় সহ কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান তাদেরকে পাশের চেয়ারে বসান। এরপর বেলা সোয়া বারোটা নাগাদ সাইরেন বেজে ওঠে, তারপর শঙ্খ ধ্বনি আর উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। সকলেই একসাথে এদিন ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে।