আবার একবার ছাদনা তলায় বসলেন মদন দা

তিনি মানেই বিতর্ক তা সে রাজনৈতিক দলই হোক বা তার নিজের ব্যক্তিগত জীবনে৷ তৃণমূল যখন অন্তর্দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত, তখন দ্বিতীয়বার বিয়ের পিড়িতে বসলেন মদন মিত্র৷ শনিবার বিকেলে লাল পাঞ্জাবীতে বর বেশে পৌঁছে গেলেন ছাদনাতলায়৷ ধুমধাম করে সারলেন দ্বিতীয় বিয়ে৷ কিন্তু পাত্রী কে? এ বিষয়ে একেবারে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক৷ বিয়ের মণ্ডপে কনের মুখ থেকে পান পাতা সরতেই হল পর্দা ফাঁস৷

চোখে রঙিন চশমা আর মাথায় ঘিয়ে পাগড়ি বেঁধে তখন ছাদনাতলায় দাঁড়িয়ে মদন৷ পান পাতায় মুখ ঢেকে হাজির কনে৷ তাঁকে সাত পাকে বেঁধে ফেললেন হবু স্ত্রী৷ এর পর নিয়ম মেনে কনের মুখ থেকে পান পাতা সরতেই সব জল্পনার অবসান৷ পাত্রী আর কেউ নন, তিনি মদন মিত্রের স্ত্রী অর্চনা মিত্র৷ দীর্ঘদিনের সঙ্গীর গলাতেই আরও একবার বরমালা পরালেন কামারহাটির বিধায়ক৷

বঙ্গ রাজনীতির ‘কালারফুল বয়’ এদিন সেজেছিলেন কনের সঙ্গে রং  মিলিয়ে৷   জানা গিয়েছে, প্রচারমূলক অনুষ্ঠানের জন্যেই এই বিয়ের আয়োজন৷ তবে বিয়ে সেরে দু’জনেই আনন্দে উচ্ছ্বসিত৷ শুক্রবার রাতের মধ্যেই সমস্ত কেনাকাটা সেরে ফেলেছিলেন মদন৷ নিজে পছন্দ করে কনের জন্য কেনেন লাল টুকটুকে বেনারসি৷ মদনের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে যখন শোরগোল, তখন বিয়ে প্রসঙ্গে মদনের বক্তব্য, ‘‘আসলে আমি মানসিক ভাবে খুব বিভ্রান্ত। সবাই বলছে ‘ওয়ান ম্যান ওয়ান পোস্ট’। তাই আমিও ভেবেছিলাম ‘ওয়ান ম্যান ওয়ান ওয়াইফ’। কিন্তু এখন ভাবছি দুটো হাত দুটো পায়ের মতো দুটো বউ ছাড়া চলবে না। তাই আবার বিয়ে করছি।’

একেবারে ব্যান্ড পার্টি নিয়ে রীতিমতো শোভাযাত্রা করে ভবানীপুর থেকে কালীঘাটে বিয়ে করতে যান মদন মিত্র৷  এদিকে শুক্রবার মদন জানিয়েছিলেন, দল তাঁকে শাস্তি দিলে তিনি মাথা পেতে নেবেন৷ সেই সঙ্গেই জানান, তিনি কোনও ভুল করেননি৷ এমনকী মদন এও জানিয়েছেন, দল তাঁকে শোকজ করেছে। তবে তিনি কোনও চিঠি হাতে পাননি। এই আবহে মদন মিত্র নতুন কী চমক দেন, সেই অপেক্ষাতেই ছিলেন তাঁর অনুগামীরা।