আদিবাসী মেয়ের ডাক্তারি পড়ার সুযোগে খুশির জোয়ার

চায়ের দেশে নুনকথার চিত্র সবারই জানা । চাবাগানের শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সঙ্কট, সংঘর্ষকে উপেক্ষা করে স্বপ্নের দৌড়ে সফল হল স্বপ্না। এবারের নিট পরীক্ষায় সাফল্যে পেয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল পড়ার সুযোগ পেল খড়িবাড়ি বাতাসির স্বপ্না মুন্ডা। চাবাগানের লাইনঘরের ছোট্ট চালের নীচে সাফল্যের খুশিতে স্বপ্নার উজ্জ্বল মুখটির ছবি ধরা পড়লেও এই স্বপ্নের দৌড়টা শুরু হয়েছিল খুবই কঠিনভাবে। স্বপ্নার বাবা চাবাগানের শ্রমিক, মা বাগানেরই স্বাস্থ্যকর্মী । বাগানের সামান্য আয়েও মেয়েকে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সচেষ্ট হয়েছেন কঠোর পরিশ্রমে।

২০১৬ সালে বাতাসি শাস্ত্রীজি স্কুল থেকে মাধ্যমিকে প্রায় ৮০ শতাংশ নম্বর নিয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার জন্য শিলিগুড়ি মার্গারেটে ভর্তি হয় স্বপ্না মুন্ডা । বাগানের সামান্য আয়ে মেয়ের ওড়াশোনার অর্থ জুগিয়েছেন বাবা-মা দুজনেই। তারপর ২০১৮ তে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর নিট এ বসার জন্য প্রস্তুতি নেয়। প্রথম বার অসফল হলেও এবার নিট এ সাফল্য পেল স্বপ্না মুন্ডা। এই সাফল্যে খুশি খড়িবাড়ির বাগান লাইনে। স্বপ্নার এই সাফল্যের কথা শোনাতে শোনাতেই তার মা জানালেন সায়েন্স নেওয়ার পর অনেকেই মেয়ের সমালোচনা করত। বাগানের হতদরিদ্র মেয়ে সায়েন্স পড়তে পারবে? এ বলে কটাক্ষ করত। কিন্তু স্বপ্না ভেঙে পড়েননি । নিজের জেদকে কঠোর পরিশ্রমে ঢেলে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়ে খুশি স্বপ্না। স্বপ্নার এই সাফল্যে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে ভিড় জমে বাড়িতে