উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের মাদারীপুর ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অস্থায়ী ক্যাম্প করে দার্জিলিং জেলার বিধাননগরের বাসিন্দা দুলাল ঘোষ এই প্রক্রিয়াকরণ শুরু করেছেন। ফেলে দেওয়া ভুট্টা গাছই নয়, ঝড় বৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া ভুট্টা গাছের অংশ কৃষকদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে সেই গাছকে প্রক্রিয়া করে বড় বড় মন্ড বানিয়ে ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি করছেন।
দুলালবাবুর দাবি, এই অঞ্চলে এই জাতীয় মেশিন আর নেই।শিলিগুড়ির বিধাননগরে কিছু বছর আগে এই মেশিন বসানো হয়েছিল তবে প্যাকেট করার মেশিন ছিলনা, শুধু ভুট্টা গাছগুলি চিপস করে অর্থাৎ কুটি করে ব্যাগের মধ্যে করে বিক্রি করা হতো। এই সুন্দর মেশিনটি প্যাকেট করা হচ্ছে সেটি বসানোর পর চাহিদা আরও বেড়েছে।
বিভিন্ন রাজ্যে এর চাহিদাও বেড়েছে বিশেষ করে পশুখাদ্য হিসেবে। এর চাহিদা এখন বাজারে প্রচুর।এই পশুখাদ্য এক বছর থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত নষ্ট হয় না। এর দামও অনেক কম। এর গুনাগুনও ভালো। বর্ষাকালে চারিদিকে জলের প্রভাব বেশি থাকে। ফলে পশুখাদ্য পাওয়া যায়না। তখন এই পশুখাদ্যের চাহিদা আরও বেড়ে যায়। তিনি বলেন মানুষ এই ব্যাবসায় এগিয়ে আসুন। তিনি আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখছেন এই ব্যাবসা করে।