১৯৯৬ সালের হাওয়ালার জৈন কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার দাবি জৈন কেলেঙ্কারির চার্জশিটে নাম ছিল রাজ্যপালের।
সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপালকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন, “ওর নাম জৈন হাওয়ালা কেসের চার্জশিটে ছিল, এখনো এ সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে। এমন একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে কিভাবে রাজ্যপালের মত এক বিশেষ সাংবিধানিক পদে নিয়োগ করা হলো? উত্তরবঙ্গকে জেনে-বুঝে অশান্ত করছেন রাজ্যপাল। বিজেপি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথাবার্তার দ্বারা তিনি উত্তরবঙ্গকে ভাগের চক্রান্তও করছেন।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই ক্ষুব্ধ প্রসঙ্গ করার পরই রাজনীতি মহলে শোরগোল পড়ে যায়। যে হাওয়ালা কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তা ১৯৯৬ সালের। সেই সময় সরকার ছিলেন নরসিমা রাও। সেই সময় এই হাওয়ালা কেসের কথা প্রকাশ্যে আসে, অন্তত ১১৫ জন রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নরসিমা রাও সহ মন্ত্রীসভার তিন মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে যায়। ঠিক তখনই উঠে আসে জগদীপ ধনকরের নামও। ঘটনার সময় তিনি ছিলেন বাংলার বর্তমান রাজ্যপাল।
মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষুব্ধ মন্তব্য শোনার পর এদিন রাজ্যপাল সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “হাওয়ালার জৈন মামলায় আমার নাম ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী ভুল মন্তব্য করেছেন আমার বিরুদ্ধে। উত্তরবঙ্গে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে অনেক ঘটনাই জানতে পেরেছি। রাজ্যপাল হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করাই আমার প্রধান কাজ। সুতরাং তার কাছে আমি এমন আচরণ আশা করিনি।”