বঙ্গে একের পর এক ধাক্কার মুখে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপিদের চাঙ্গা করতে রাজ্যে এলেন নাড্ডা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। যদিও একান্ত কোনও বৈঠক হয়নি। আলোচনায় ছিলেন বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, নিশীথ প্রামাণিক এবং অমিত মালব্য। আজ চুঁচুড়ায় বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত বন্দেমাতরম ভবনে যান নাড্ডা। তারপর চন্দননগরে রাসবিহারী বসু রিসার্চ ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে আসেন ন্যাশনাল লাইব্রেরি অডিটোরিয়ামে।
বুধবার দিলীপের সঙ্গে আলাদা বৈঠক না হলেও আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাড্ডা-দিলীপ পৃথক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকে আদতে কী আলোচনা হয় তা জানার জন্য উদগ্রীব থাকছে বিজেপির কর্মী এবং সদস্য-সমর্থকরা। তবে আজ বঙ্গ-বিজেপির নেতাদের সঙ্গে নিউটাউনের হোটেলে একপ্রস্ত বৈঠক সেরেছেন নাড্ডা, সেখানে দলীয় নেতৃত্বকে সংগঠন মজবুত করার টনিক দিয়েছেন তিনি। নাড্ডা বলেছেন, ওপর থেকে কেউ এসে জিতিয়ে দেবে না, মানুষের পাশে থাকতে হবে। একই সঙ্গে, বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে সেই বিষয়েও আলোচনা করেন নাড্ডা।
কিছুদিন আগেই বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে দিলীপ ঘোষকে বাংলা ছাড়া অন্যান্য রাজ্যের দায়িত্ব নিতে হবে। জানা গিয়েছে, বাংলা ছাড়া অন্য আট রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলাতে হবে তাঁকে। রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, আন্দামান, মণিপুর, মেঘালয়, অসম, ত্রিপুরা। এক কথায়, বাংলার রাজনীতি থেকে বহু দূরে চলে গিয়েছেন তিনি। তবে আজকের বৈঠক প্রমাণ, বিজেপি থেকে এখনও ‘দূরে’ যাননি দিলীপ।