করোনার নতুন প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা থাকলেও এখনো মেলেনি অনুমোদন

করোনা সংক্রমণ রোধ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল টিকাকরণ। আর তার জন্য সফল ভাবে বাজারে টিকা আনার চেষ্টা করে যাচ্ছে একের পর এক প্রস্তুতকারক সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এলো কোভ্যাক্সিন ট্রায়াল রিপোর্ট। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভারত বায়োটেকের তৈরি টিকা কোভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী। পাশাপাশি ডেল্টা স্ট্রেনকে রুখতে সক্ষম কোভ্যাক্সিন। চূড়ান্ত পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল রিপোর্ট বলছে, এই ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধেও যথেষ্ট কার্যকর। এমনটাই দাবি করছে প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেক। তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূল প্রয়োগের পর বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য জানালো ভারত বায়োটেক। ১৩০ জনের উপর করা পরীক্ষার ফলাফল খতিয়ে দেখে এই দাবি করা হয়েছে।

দাবি করা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের ‘ডেল্টা’ প্রজাতির বিরুদ্ধে এই কোভ্যাক্সিন টিকা ৬৫.২ শতাংশ কার্যকরী। অন্যদিকে উপসর্গহীন কোভিডের ক্ষেত্রে এই টিকা কার্যকরী ৬৩.৬ শতাংশ। এর পাশাপাশি আরও দাবি করা হয়েছে, এই টিকা ব্যবহারের পর সাধারণ মানুষের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার হার ১২ শতাংশ এবং ০.৫ শতাংশ বা তারও কম ক্ষেত্রে গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

তবে কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেও টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার স্বস্তি হচ্ছে না কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে এখনও অনুমোদন দেয়নি। মনে করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই সেই অনুমোদন মিলবে। কয়েকদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও জরুরিভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের অনুমোদন চেয়ে তা পায়নি ভারত বায়োটেক। আরও প্রায় ৫০টি দেশে অনুমোদন চেয়ে আবেদন জানিয়েছে বায়োটেক। তবে এই পরীক্ষার ফল সামনে আসার পর এই টিকা আবিষ্কারের ইতিবাচক দিক দেখছে বায়োটেক।