বারোদিনের যুদ্ধে ইউক্রেন কার্যত ধ্বংসস্তূপ। রাজধানী কিয়েভ ও খারকভ দেখলে মনে হয় জাদুবলে যেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ফিরে গিয়েছে শহরগুলি। মূহুর্মূহু গোলবর্ষণ ও যুদ্ধবিমানের কানফাটানো আওয়াজের মধ্যে মরিয়া হয়ে লড়াই চালাচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। সামরিক শক্তিতে কয়েক আলোকবর্ষ এগিয়ে থাকলেও কিয়েভ দখলে এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ রুশ বাহিনী।
এক মার্কিন অধিকারিককে উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করেছে, ইউক্রেনে মোতায়েন হতে চলা সিরীয় সৈনিকদের সংখ্যা জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্যে বহু সিরিয়ান জওয়ান যুদ্ধের ময়দানের যাওয়ার জন্য রাশিয়া পৌঁছে গিয়েছেন। ধারণা, যুদ্ধে সিরীয় সৈনিকদের উপস্থিতি পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলবে। তবে ইউক্রেনের হয়েও বহু বিদেশি লড়াই করছে। সম্প্রতি যুদ্ধজর্জর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে যাদের পক্ষে লড়াই চালাচ্ছেন প্রায় ১৬ হাজার বিদেশি যোদ্ধা।
উল্লেখ্য, রবিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে ফোনালাপ হয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে তুরস্ক বারবারই মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিল। এমনকী, পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদোমির জেলেনস্কিকে এক টেবিলে আনার চেষ্টাতেও ছিলেন এরদোগান। এদিন পুতিন ফোনে তাঁকে আরও বলেন যে, রাশিয়া নির্দিষ্ট সূচি মেনেই শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করছে। রাশিয়াকে থামাতে হলে ইউক্রেনকে শর্ত মানতেই হবে।