বরিস জনসনের মন্ত্রিসভায় ডামাডোল। সরকার থেকে পদত্যাগ করলেন দুই মন্ত্রী। মঙ্গলবার প্রথমে পদত্যাগ করেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই পদত্যাগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ। জোড়া পদত্যাগের ফলে সমস্যায় পড়ে যেতে পারে বরিস সরকার। এটা ঘটনা, বরিসের বিশ্বস্ত ঋষির পদত্যাগে শোরগোল পড়েছে। পদত্যাগের কথা জানিয়ে ঋষি সুনক টুইট করেছেন। টুইটের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া তাঁর চিঠিও। টুইটে ঋষি লিখেছেন, ‘জনগণ আশা করে সরকার সঠিকভাবে, দক্ষতার সঙ্গে এবং গুরুত্ব সহকারে পরিচালিত হবে।’ এরপরই তাঁর সংযোজন, ‘এটাই আমার শেষ মন্ত্রিত্ব। কিন্তু বিশ্বাস করি এই সরকারের কয়েকটি বিষয়ে মান বজায় রাখা জরুরি। সে কারণেই পদত্যাগ করলাম।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ টুইটে লিখেছেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি।’ এদিকে ঋষি সুনকের জায়গায় ব্রিটেনের নতুন অর্থমন্ত্রী হলেন নাদিম জাহাউই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেন স্টিভ বার্কলে।
এটা ঘটনা, যৌন কেলেঙ্কারি–সহ একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ২০১৯ সালে ক্রিস পিনচার নামে বর্ষীয়ান এক রাজনীতিককে বড় পদে এনেছিলেন জনসন। দাবি ছিল, পিনচারের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা তিনি কিছুই জানতেন না। কিন্তু সম্প্রতি এক সরকারি মুখপাত্রই ফাঁস করে দেন যে জনসন মিথ্যা কথা বলেছেন। যা নিয়ে শোরগোল উঠতেই প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে ইস্তফা দিলেন ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ ও অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। দু’জনই টুইটে নিজেদের পদত্যাগের কারণ হিসেবে প্রতিবাদের কথা জানিয়েছেন। এদিকে বুধবার বরিসের অস্বস্তি বাড়িয়ে আরও দুই মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন পরিবার ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী উইল কুইন্স ও পরিবহন মন্ত্রী লরা ট্রট।