ধীরে ধীরে আবার আগের জায়গায় পৌছাচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে পরিষেবা কী ভাবে চালু রাখা যাবে তাই নিয়ে এখন চিন্তার শেষ নেই নীলরতন সরকার হাসপাতালের। কারণ একদিনে সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৮ জন! কোভিড পজিটিভের মধ্যে চিকিৎসক, নার্স, পিজিটি ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাই প্রায় ১০০। তাই হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রাখা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। রোগীদের চিকিৎসা কারা করবেন, তাই নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।
এত বেশি চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই রোগী পরিষেবা নিয়ে সঙ্কট তৈরি হয়েছে। কী ভাবে হাসপাতাল চালু রাখা হবে, তা নিয়ে ভাবনা, চিন্তা শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, আপাতত কিছু পরিষেবা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে হাসপাতাল। শুধুমাত্র এমারজেন্সি সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ চালু রাখা হচ্ছে। বাকি কিছু বিভাগে বাধ্য হয়ে কাটছাঁট করছে কর্তৃপক্ষ।
চিত্তরঞ্জন শিশু সেবা সদন, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ থেকেই আগেই ভাইরাস আক্রান্তের খবর এসেছিল। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে জুনিয়র ডাক্তার, মেডিক্যেল অফিসার, কে ছিল না আক্রান্তের তালিকায়। সেখানের পরিস্থিতিও তেমন কিছু বদলায়নি। বরং দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। সব পরিষেবা সেখানেও চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
যারা চিকিৎসা করবেন, তারাই যদি এইভাবে আক্রান্ত হতে থাকেন কোভিডে, তাহলে রোগীদের কী হবে। বিগত ৩-৪ দিনেই রাজ্যের করোনা গ্রাফ হু হু করে বেড়েছে। একলাফে সংক্রমণ ২ হাজার, ৩ হাজার… ৯ হাজার হয়ে গিয়েছে। কলকাতায় তো সবথেকে বেশি। এদিকে, ইতিমধ্যেই এনআরএসের হস্টেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, যাদের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়বে শুধু তাদেরই হস্টেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হচ্ছে। অন্যদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।