উঠছে প্রশ্ন, স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বিপুল সংখ্যক খরচ কোথায় পেলেন কেষ্ট

তৎপর সিবিআই, গ্রেফতার রাজ্যের হেভি ওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার নিজের গড় থেকে নাটকীয়ভাবে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন এই দাপুটে নেতা৷ কিন্তু, তাঁর সম্পত্তির হিসাব মেলাতে গিয়ে নাজেহাল সিবিআই৷ কেষ্টর নামে কোথায়, কত সম্পত্তি রয়েছে সেই খোঁজ পেতে কালঘাম ছুটছে তদন্তকারী অফিসারদের।

বিভিন্ন নথি ঘেঁটেও নাকি অনুব্রত মণ্ডলের নামে বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ উল্টে তদন্তে নেমে সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, অনুব্রত মণ্ডলের অধিকাংশ সম্পত্তিই কেনা হয়েছে বেনামে। এখন সেই প্রমাণ জোগার করতেই নাকাল তদন্তকারী অফিসাররা। এই বিষয়ে জানতে জন্য, প্রশ্নমালা  তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷

তদন্তকারী অফিসারদের প্রশ্ন, অনুব্রত মণ্ডলের যদি নিজস্ব কোনও সম্পত্তি না থাকে, তাহলে তাঁর স্ত্রীর চিকিৎসার বিপুল খরচ কোথা থেকে বা কীভাবে জোগার করলেন? প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ছবি মণ্ডল ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তিনি কলকাতার টাটা মেডিক্যাল হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসারত ছিলেন। পাশাপাশি স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালেও গিয়েছিলেন অনুব্রত৷

সেই সময় ছবি মণ্ডলের চিকিৎসার জন্য বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করেছিলেন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি। আর এখানেই সিবিআই আধিকারিকদের প্রশ্ন, অনুব্রত মণ্ডলের কাছে যদি টাকা নাই থেকে থাকে, তাহলে স্ত্রীর চিকিৎসার পিছনে যে এত টাকা খরচ করলেন কীভাবে?

তাহলে কি সেই সময় কেউ তাঁকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন? যদি কেউ আর্থিক সাহায্য করেই থাকে, তাহলে কে বা কারা? অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্কই বা কী? সূত্রের খবর, এই ধরনের নানা প্রশ্নের জবাব অনুব্রতর কাছ থেকে খুঁজছেন তদন্তকারী অফিসাররা৷ বৃহস্পতিবার সকালে বোলপুর থেকে গ্রেফতার করার পর ওই দিন গভীর রাতে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসা হয় কেষ্টকে৷

শুক্রবার সকাল থেকে তাঁকে সে ভাবে জেরার সুযোগ পাননি তদন্তকারী আধিকারিকরা। কারণ, শুক্রবার দুপুরে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পর বিকেলে তাঁকে ফের ফিরিয়ে আনা হয় নিজাম প্যালেসে৷ সূত্রের খবর, সন্ধের পর অনুব্রতকে একপ্রস্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ শনিবারও সকাল থেকে শুরু হয় দফায় দফায় জেরা৷