পনেরো দিনের মধ্যে সব তথ্য প্রকাশ করবে পুলিশ

এইমুহুর্তে রাজ্যের মহানগরীতে উত্তাল পরিস্থিতি নিয়ে। আনিস হত্যা কাণ্ড নিয়ে সরগরম পরিস্থিতি রাজ্যে। এরই মধ্যে গ্রেফতারির ঘটনা ঘটল। দুই পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে যারা হলেন হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক পুলিশ প্রীতম ভট্টাচার্য। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব তথ্য সামনে আসবে। কিন্তু কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগও তিনি তুলেছেন।

ডিজির বক্তব্য, সিটকে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে মৃতের পরিবার সহযোগিতা করছে না। বাধা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে বলে জানান ডিজি। তাঁর নিশানায় রয়েছে রাজনৈতিক দলও। তিনি জানাচ্ছেন, কিছু রাজনৈতিক দল সিটের কাজে বাধা দিচ্ছে। মৃতের পরিবার যাতে পুলিশের সঙ্গে সহযোগীতা করে সেই অনুরোধ করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি সকলকে জানান, আনিস খানের দেহ আবার ময়নাতদন্ত করতে চায় পুলিশ। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আবার ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে আর কোনও তথ্য এদিন দিতে চাননি। বলেছেন, এখনই কোনও তথ্য জানান হবে না যতদিন না পর্যন্ত সেটা ১০০ শতাংশ সঠিক হচ্ছে। তাই মূল তথ্য পেতে ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে বলেই জানান ডিজি।

প্রথমে সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ কর্মীদের মধ্যে এক জন এএসআই (নির্মল দাস), এক জন কনস্টেবল (জিতেন্দ্র হেমব্রম) রয়েছেন। সাসপেন্ড করার রীতি নেই বলে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল হোমগার্ড (কাশীনাথ বেরা) কে, তাকেই গ্রেফতার করা হয়েছে এখন। যে রাতে আনিস খুন হন সেই রাতেই এই তিন জন থানার খাতায় সই করে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সঙ্গে নিয়ে রাউন্ডে বেরিয়েছিলেন। আনিসকে তাঁরাই ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও এই ব্যাপারটি এখনও প্রমাণ সাপেক্ষ। এদিকে জানা গিয়েছে, ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে সাসপেন্ড হওয়া তিন পুলিশ কর্মী এবং এক জন সিভিক পুলিশকে। এই পুলিশ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তলব করা হয়েছে বলে খবর।