আমফানের থেকেও আরও বেশি শক্তিশালী হল তাওকত

গোদের ওপর বিষফোঁড়া। করোনা মহামারীর মধ্যে এসে পড়েছে আরও এক বিপদ। বিদ্ধস্থ দেশের অবস্থা। বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘তাওকতে’র তাণ্ডবে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। দুদিন ধরে তাণ্ডব চালানোর পর ঘূর্ণিঝড় তওতে ধীরে ধীরে দুর্বল হচ্ছে। গতকাল রাতে গুজরাতের ৬০ কিলোমিটার দূরে দিউতে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে তওতে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর থেকেই ক্রমেই শক্তি কমতে থাকে ‘তাওকতে’র। তবে শক্তি কমলেও তার তাণ্ডবলীলা অব্যাহত থাকবে। এর পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের একাধিক এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।

গুজরাটে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে সেনার ১৮০টি দল যুক্ত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুই লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয় এনডিআরএফেস ৪৪ টি দল। এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে মুম্বইতে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল বিমান পরিষেবা। পরে বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এই ঘূর্ণিঝড়ে ৭ জেলার ১২১টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্ণাটক রাজ্য বিপর্যয় পরিচালন কর্তৃপক্ষ।