বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের সংখ্যক রোধ করতে রাজ্যে চালু হয়েছিল বেশ কিছু বিধিনিষেধ৷ যার সুফল কিছুটা হলেও মিলছে৷ আজ আবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। তবে মৃত্যু নিয়ে একটা চিন্তা রয়েই গিয়েছে। তবে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত অনেকটাই কমেছে তুলনায় যা স্বস্তির ব্যাপার। রাজ্যের আজ পজিটিভিটি রেট কিঞ্চিত কমে হল ৫.৪৯ শতাংশ। এদিকে সুস্থতার হার ৯৭.৬৮ শতাংশ। এদিকে, মঙ্গলবার থেকে ৭৫ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে লোকাল ট্রেন, মেট্রো। এমনটাই ঘোষণা করেছে নবান্ন। এতদিন রাজ্যে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো চলাচল করত।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯১০ জন। সংক্রমিত জেলাগুলির মধ্যে আজ আবার প্রথম স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। নতুন করে সেখানে সংক্রমিত যথাক্রমে ২৩৩ জন এবং কলকাতা দ্বিতীয়, সেখানে সংক্রামিত ১৭৯ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫১৬ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের মোট মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৬১৯ জনের। অন্যদিকে, একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ৭ হাজার ৭২৭ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৮৮ জন। বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৭০৯ জন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সিনেমা, রেস্তরাঁ, বার, জিম থেকে শুরু করে অডিটোরিয়াম সবক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত উপস্থিত থাকা যাবে। সরকারি এবং বেসরকারি অফিসের ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। বিভিন্ন সামজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও বিধি শিথিল করে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি করার কথা এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাস্তার মিটিং-মিছিলে তিনি কোনও ছাড় দেননি। সেটা আগের মতো ২০০ জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বলেই ঘোষণা করেছেন তিনি। এছাড়াও রাত্রীকালীন কার্ফু শিথিল করে রাত ১১ টা থেকে করা হয়েছে বলে জানিয়ে দেন মমতা। অর্থাৎ এখন থেকে রাত ১০ টার পরিবর্তে ১১ টা থেকে কার্ফু শুরু হবে, যা চলবে ভোর ৫ টা পর্যন্ত। আগামীকাল থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই নিয়ম থাকবে।