নতুন জল্পনা রাজনীতির মঞ্চে, সোনিয়াকে ফোন নীতীশের

নতুন জল্পনা বাড়ছে রাজনীতির মঞ্চে। তাহলে কি এবার ভাঙ্গনের পথে বিজেপি জেডিইউ জোট? সেই সম্ভাবনার কথাকে উসকে দিয়েই রবিবার রাতে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।

কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছে, বিজেপির বিরুদ্ধে নীতিশের অভিযোগ, গেরুয়া বাহিনী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নীতীশের দলে ভাঙ্গন ধরানোর চেষ্টা করছে। আর তার জেনেই বিজেপির সঙ্গে তাঁর দলের দূরত্ব ক্রমশ বেড়েছে, দলীয় সূত্রে খবর এমনটাই।

এর মধ্যেই এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর পি সিং আনুষ্ঠানিকভাবে জেডিউ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর তাতেই বিজেপি এবং জেডিইউর জোটের অন্দরে বিরোধ আরও বেড়েছে বলে খবর। শোনা যাচ্ছে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী দলের সমস্ত বিধায়ক এবং সাংসদদের নিয়ে একটি জরুরী বৈঠকে বসবেন।

আর সেই বৈঠকের আগেই রবিবার বিকেলে তিনি হঠাৎই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করেন বলে খবর। যদিও নীতীশ কুমার ঠিক কি কারণে সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করেছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে বর্তমান রাজনীতি পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করছেন এই ফোন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

উল্লেখ্য ২০২০ সালের বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের হাত ধরেই  নীতিশের দল এবং বিজেপির এই জোট। ওই নির্বাচনে যদিও নীতিশের দলের থেকে অনেক বেশি আসন পেয়েছিল বিজেপি, কিন্তু তারপরেও নীতীশ কুমারকেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি এই দুই দলের মধ্যে মনোমালিন্য এবং দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে।

পরিস্থিতি আরও জটিল হয় কেন্দ্রে আরসিপি সিংয়ের মন্ত্রিত্ব নিয়ে। একদা নীতীশ ঘনিষ্ঠ আরসিপিকে মন্ত্রী করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের। তবে তা চাননি নীতীশ। এই আবহে আরসিপিকে রাজ্যসভার টিকিট দেয়নি জেডিইউ। এই আবহে মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন আরসিপি। তাঁর বিজেপিতে যোগদান নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে।

এরই মাঝে নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেড রবিবার জানিয়ে দিয়েছে যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাদের কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। এর জেরে আরও জোরালো হয়েছে ভাঙনের সম্ভাবনা। জেডিইউর কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং জানিয়েছেন, আরসিপি সিংয়ের চলে যাওয়াটা প্রত্যাশিতই ছিল। তাঁর শরীর ছিল একজায়গায়। তাঁর মন ছিল অন্য জায়গায়। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন নীতীশ। তা নিয়েও জলঘোলা শুর হয়েছে।