স্বাধীনতা দিবসের আগে প্রোফাইল পিকচার বদল মমতার

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি হতে চলেছে। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’৷ সকলকে জাতীয় পতাকার ছবি দিতে বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ আর তাই যেন রাখতে দেখা গেল৷ সোশাল মিডিয়ার প্রোফাইল পিকচার বদলে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেরঙ্গার পাশাপাশি ৩০ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছবি রয়েছে সেই ছবিতে৷ প্রোফাইল পিকচার বদলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

প্রসঙ্গত, আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালনের জন্য বিশেষ পদক্ষেপের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Prime Minister Narendra Modi)। স্বাধীনতার ৭৫ তম বছর উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখতে সোশাল মিডিয়ায় প্রত্যেককে প্রোফাইল পিকচারে (Profile Picture) তেরঙ্গা লাগানোর ডাক দিয়েছেন তিনি। একাধিক ব্যক্তিত্ব থেকে সংস্থা ইতিমধ্যে যে পথ ধরেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে প্রদানমন্ত্রীর যে ডাককে সামনে রেখে চালানো হচ্ছে রাজনৈতিক প্রচারও।

ইতিমধ্যে জাতীয় পতাকা ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করেছে। নরেন্দ্র মোদির আবেদন মেনে বিজেপি নেতারা ইতিমধ্যে যখন তাঁদের প্রোফাইল পিকচারে তেরঙ্গাকে স্থান দিয়েছেন। তখন কংগ্রেসের নেতারা হেঁটেছেন একটু ভিন্ন পথে। তারা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর জাতীয় পতাকা তোলার ছবিকে স্থান দিয়েছেন তাঁদের প্রোফাইল পিকচারে।

এদিকে, মেদিনীপুর সংশোধনাগারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জাতীয় পতাকা তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশজুড়ে ৭৫টি সংশোধনাগারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন-সহ বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কর্মসূচি পালনে আজ স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মৃতি বিজড়িত মেদিনীপুর সংশোধনাগারে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তাঁর অভিযোগ, জেল কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেওয়ায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করেই তাঁকে ফিরতে হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই বাধা, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এই নিয়ে মন্তব্য এড়িয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।