দোরগোড়ায় শারদীয় দুর্গোৎসব চরম ব্যাস্ততায় শিলিগুড়ির ক্ষুদে শিল্পী

হাতে গোনা আর মাত্র কদিন তারপরেই মায়ের আগমন। এক বছর অপেক্ষারপর বাপের বাড়িতে সপরিবারে আসবেন মা। যার জন্যই চরম ব্যস্ততা পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে। অন্যদিকে হাতে গোনা কয়েকটা দিনের মধ্যেই প্রতিমা তৈরি করতে ব্যস্ত মৃতশিল্পীরা। শিলিগুড়ির কুমার টুলির পাল পাড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ততা লক্ষ করা গেলো  ২৮শে সেপ্টেম্বর। শিলিগুড়ির হাকিম পাড়ার সরোজ পালের বাড়িতে প্রতি বছরই সমতল থেকে পাহাড় সরোজ পালের হাতে তৈরি দূর্গ প্রতিমার চাহিদা রয়েছে বিপুল। লাগাতার লকডাউন ও আংশিক লকডাউনে শিল্পীদের মনভার থাকলেও অন্যবারের মত এবারও সরোজ পালের হাতের তৈরি মূর্তির চাহিদায় খামতি নেই। পাশাপাশি এবছর খুব আনন্দিত ও গর্বিত অনুভব করছেন সরোজ বাবু, তিনি জানান তার বাবার কাছ থেকেই মূর্তি তৈরির প্রতি ওনার আগ্রহ বেড়েছে এবং সেই আগ্রহ এখন তিনি লক্ষ করেছে তার ১১ বছরের পুত্র সন্তানের মধ্যে। তিনি আরো জানান যেখানে অন্যান্য বাচ্চারা এই বয়েসে খেলা ধুলোয় মেতে ওঠে সেখানেই কিন্তু ছোট্ট শৈকত-এর সম্পূর্ণ সময় মাটি হাতে মূর্তি তৈরিতে কেটে যায়। স্কুল ছুটির ফাঁকে প্রায় ১ ফুটের প্রতিমা তৈরি করতেই ব্যস্ত ক্ষুদে শৈকত। ক্ষুদে শিল্পীর বাবা জানান শৈকতের তৈরি মূর্তির খবর চাউর হতেই অনেকেই যোগাযোগ করেছেন দূর্গ প্রতিমা নেওয়ার জন্য তবে এখনও নিশ্চিত হয়ে ওঠেনি কোন পুজো মণ্ডপে পূজিত হবে ক্ষুদে শিল্পী শৈকত পালের তৈরি প্রায় ১ ফুটের দুর্গা প্রতিমা।