বিগত দু বছর ধরে একের পর এক নতুন রূপ নিয়ে হাজির হচ্ছে করোনা সংক্রমণ। ‘ওমিক্রন BA.2’। করোনা ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি নিয়ে এখন জোর আলোচনা। যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছে বিশেষজ্ঞরা কারণ এই নয়া রূপ নিয়ে এখনও ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে, কৌতূহল এবং আতঙ্ক দুইই বেড়ে চলেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কিন্তু আগের ওমিক্রন থেকে এই নতুন ওমিক্রন কতটা ভয়ঙ্কর? আদৌ কি ভয় পাওয়ার কারণ আছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর মিলল আপাতত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, নতুন ওমিক্রনের সংক্রমণের হার আগের ওমিক্রনের চেয়ে বেশি হতে পারে। যদিও দুই ওমিক্রনে বেশি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়নি। তারা আরও বলছে, সংক্রমণের গতি, হাসপাতালে ভর্তির পরিসংখ্যান দেখে মনে করা হচ্ছে আগের ওমিক্রন থেকে নতুন ওমিক্রন খুব একটা আলাদা নয়। দুটিতেই মোটামুটি একই রকমভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই নতুন ওমিক্রন সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারবে না এই জিনিস ভাবা ভুল হবে বলেই মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। এই ইস্যুতে তাদের আরও সংযোজন, নতুন ওমিক্রনের সংক্রমণের হার আগেরটির চেয়ে বেশি। ফলে আগামী দিনে ভয়াবহতা যে বেশি হবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতেই হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, ইতিমধ্যে ৫৭ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই নয়া প্রজাতি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না যে তিনি এই নয়া ওমিক্রনে আক্রান্ত। এটিকে পিসিআর পরীক্ষাতেও ধরতে পারা মুশকিল। তাহলে কোন উপসর্গে বোঝা যাবে এই প্রজাতি? তাও অবশ্য জানা গেল। তথ্য মিলেছে, এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হলে মূলত বমিভাব, অম্বল, পেটে ব্যাথা, ডায়েরিয়ার মত উপসর্গ দেখা দেবে। আপাত দৃষ্টিতে যা মারাত্মক ক্ষতিকর মনে না হলেও পড়ে তা বড় আকার ধারণ করতেই পারে এই প্রজাতির জন্য তা স্পষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। ইউরোপের একাধিক দেশ, আমেরিকা, সব জায়গায় এই প্রজাতির বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে।