অবশেষে হিজাব বিতর্কে মুখ খুললেন যোগী

বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে শিক্ষা না হিজাব নিয়ে। শুরু হয়েছে বিতর্ক, উঠছে অভিযোগ। শরিয়ত নয়, মানতে হবে দেশের সংবিধান। উত্তরপ্রদেশ ভোটের আবহেই হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সম্প্রতি কর্নাটকে যে ঘটনা ঘটেছে এবং তা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, সেই নিয়েই মুখ খুলে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। স্পষ্ট করলেন, দেশের সংবিধান মেনে চলতে হবে। গজওয়া-ই-হিন্দ স্থাপন করার স্বপ্ন কখনই সফল হবে না ভারতবর্ষে।

কর্ণাটকের কলেজে হিজাব পরা ছাত্রীদের প্রবেশ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। হিজাব পরে কলেজে ঢোকা যাবে না, এই আওয়াজ তুলে বিক্ষোভ শুরু হয়। হিন্দুত্ববাদী একদল পড়ুয়া গেরুয়া উত্তরীয় পরে এবং জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে প্রতিবাদ শুরু করে। পাল্টা এক ছাত্রী আবার ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেয়। সেই নিয়ে জল অনেক দূর গড়িয়েছে। আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। স্কুল-কলেজ কয়েক দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সেই ইস্যুতেই আদিত্যনাথ স্পষ্ট করলেন যে, এই দেশে মৌলবাদের শাসন কোনওদিন স্থাপন হবে না। শরিয়ত আইন হবে বলে যারা ভাবছে তাদের স্বপ্ন কোনও দিন পুরণ হবে না। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এআইএমআইএম দলের নেতা তথা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি মন্তব্য করেছিলেন যে একদিন হিজাব পরিহিত মহিলা দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। সেই মন্তব্যের পালটা দিয়েই এমন মন্তব্য করছেন যোগী আদিত্যনাথ।

উল্লেখ্য, তিনি রাজ্যের ভোট প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলতে গিয়ে বলেন, রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেছে? এর আগে যথেচ্ছ সন্ত্রাস, হিংসার ঘটনা দেখা যেত। পশ্চিমবঙ্গে কি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে? প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পাশাপাশি যোগী আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। হাজার হাজার কর্মীকে মারা হয়েছে, খুন করা হয়েছে। বুথ দখল করে ভোট হয়েছে। একই জিনিস কেরলেও হয়েছে। দুই রাজ্যেই রাজনৈতিক সন্ত্রাস, হিংসার ঘটনা ঘটেছে প্রবলভাবে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে সে ধরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি।