ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ওমিক্রনের সংক্রমণ৷ পুরভোটের প্রচারে গিয়ে করোনা ভাইরাসের নতুন রূপ ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জোড় দিলেন টিকাকরণে৷ যাঁরা এখনও ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তাঁদের অবিলম্বে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আর্জি জানালেন তিনি৷ সেই সঙ্গে মাস্ক পরার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আবুধাবি থেকে হায়দরাবাদ হয়ে আন্তর্জাতিক বিমানে একজন ওমিক্রন আক্রান্ত ৭ বছরের শিশু বাংলায় এসেছে৷ তাঁর কথায়, হয়তো একজন ধরা পড়ছে৷ কিন্তু একজন আক্রান্ত ব্যক্তি যে ফ্লাইটে আসছেন, সেই ফ্লাইটের সহযাত্রীদের মধ্যেও তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন৷ সেই সকল যাত্রীরা বাড়ি ফিরে পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে মিশছেন৷ ফলে সেই পরিবারেরও সকলে আক্রান্ত হচ্ছেন৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, ওমিক্রন মরাত্মক নয়৷ অনেক সময় কোনও লক্ষণও দেখা যায় না৷ তবে এটা অনেক বেশি সংক্রামক৷ ছোঁয়াচে৷ কিন্তু ওমিক্রনে মৃত্যুর ভয় কম৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কোভিড সামলেছি৷ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া সামলানোর চেষ্টা করেছি৷ তা সত্ত্বেও সতর্ক থাকতে হবে৷ মশার কামর থেকেও বাঁচতে হবে৷
প্রসঙ্গত, হায়দরাবাদ ফেরত সাত বছরের শিশুর শরীরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের হদিশ মিলেছে৷ আক্রান্ত শিশুর বাড়ি মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায়৷ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুটিকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে৷ আবু ধাবি থেকে হায়দরাবাদ হয়ে কলকাতায় এসেছিল শিশুটির পরিবার৷ তাঁদের সকলেরই নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল৷ শিশুটির ক্ষেত্রে জিন বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে তার শরীরে ওমিক্রম প্রজাতি কোভিড ভাইরাস রয়েছে৷
উল্লখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির আবু ধাবি থেকে বিমানটি এসেছিল হায়দরাবাদে। প্রোটোকল মেনে এমিরেটসের ওবিমান যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহ করে তেলঙ্গানার স্বাস্থ্য দফতর। আর সেই রিপোর্টেই জানা যায়, বাংলার ৭ বছরের এক শিশু ওমিক্রন আক্রান্ত। আজই রিপোর্ট হাতে আসে৷ তেলেঙ্গানার জনস্বাস্থ্য দফতরের ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রাও এক প্রথমসার্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, রিপোর্ট পেয়েই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সতর্ক করেন তিনি৷ সকালে শ্রীনিবাসনের সতর্কবার্তা পেয়েই নড়েচড়ে বসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। দ্রুত ওই বালকের সন্ধান শুরু হয়। দুপুরের মধ্যেই জানা যায়, তার বাড়ি মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার বেনিয়াগ্রামে।